রেলওয়ের এই মহাব্যবস্থাপক বলেন, ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেন উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী সুস্পষ্টভাবে কুড়িগ্রাম থেকে নতুন ট্রেন চালু করতে বলেছিলেন। আমরা সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়েছি।’
কুড়িগ্রাম-ঢাকা আন্তঃনগর ট্রেন সার্ভিসের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে নতুন কোচ আনা হয়েছে জানিয়ে রেলওয়ের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এই ট্রেনটি চালু হওয়ার পাশাপাশি রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের জন্য বরাদ্দকৃত শাটল ট্রেনটিও চলমান থাকবে। ফলে কুড়িগ্রামবাসী দু’টি আন্তঃনগর ট্রেনের সুবিধা পাচ্ছেন।’
কুড়িগ্রাম-তিস্তা রেলপথের সিঙ্গারডাবরি থেকে রাজারহাট রেলস্টেশন পর্যন্ত রেলপথের পাশ দিয়ে সড়ক বিভাগের রাস্তা তৈরির ফলে রেলপথের এই অংশটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা এই রেলপথ দেখতে এসেছি। বর্তমানে এই রেলপথ দিয়ে ট্রেন চালানো নিরাপদ নয়। তারপরও আমরা নতুন আন্তঃনগর ট্রেনটি চালু করছি।’
কুড়িগ্রামবাসীর বহুল প্রত্যাশিত এ ট্রেনটির নাম এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, নতুন এ ট্রেনটি ‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস’ নাম হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী ট্রেনটির নাম চূড়ান্ত করবেন। ট্রেনটি কুড়িগ্রাম-ঢাকা-কুড়িগ্রাম ভায়া পার্বতীপুর রুটে চলাচল করবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে লালমনিরহাট বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নতুন চালু হতে যাওয়া ট্রেনটি সপ্তাহে ৬ দিন সকাল ৭টা ২০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে কুড়িগ্রাম রেলস্টেশন ত্যাগ করবে। আর ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামের উদ্দেশে ছাড়বে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে। বুধবার এটি বন্ধ থাকবে। প্রস্তাবিত এ ট্রেনটির বিরতি থাকছে (উভয় পথে) রংপুর-বদরগঞ্জ-পার্বতীপুর-জয়পুরহাট-সান্তাহার-মাধনগর-ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশন।
কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকা যাত্রাকালীন এতে মোট ৬২৬ টি আসন থাকবে। আর ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম ফেরার সময় এতে ৫৯৬টি আসন থাকবে। এর মধ্যে শোভন চেয়ার ৫১০ টাকা, এসি চেয়ার ৯৭২ টাকা, এসি সিট ১১৬৮ টাকা এবং এসি বাথ ১৭৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।