কুড়িগ্রামে কমছে পেঁয়াজের দাম





পেঁয়াজহঠাৎ দাম বাড়ার দুই দিনের ব্যবধানে কুড়িগ্রামে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। তাই লোকসানের আশঙ্কায় কুড়িগ্রাম থেকে অন্য জেলায় পেঁয়াজ বিক্রি করছেন আড়তদাররা। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুড়িগ্রাম জেলা শহরের জিয়া বাজার সংলগ্ন পেঁয়াজের আড়তে গিয়ে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। এ সময় অতিরিক্ত পেঁয়াজ ট্রাক বোঝাই করে অন্য জেলায় পাঠাতে দেখা যায়।

পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, মঙ্গলবার সকালের পর থেকে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। সকালে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ১০০ টাকা বিক্রি করলেও বিকালের পর থেকে তা ৮৫ টাকায় বিক্রি করেছেন তারা। দিনভর পেঁয়াজের তেমন চাহিদা না থাকায় এবং দেশের বিভিন্ন জায়গায় খোলা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হওয়ায় হঠাৎ করেই দাম কমতে শুরু করে।

জিয়া বাজারের খুচরা বিক্রেতা মজনু মিয়া জানান, সোমবার প্রতিকেজি পেঁয়াজ ১২০ টাকায় বিক্রি করলেও মঙ্গলবার সকালের পর ১০০ টাকায় বিক্রি করেছেন। বুধবার এই দাম আরও কমবে বলে মনে করছেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পাইকারি ব্যবসায়ী জানান, মূলত আমদানিকারক ও আড়তদারদের যোগসাজশে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। দেশে চাহিদার চেয়ে বেশি পেঁয়াজের মজুত রয়েছে। কিন্তু ভারত পেঁয়াজ না দেওয়ার ঘোষণার পর মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা ইচ্ছা মতো দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।

জাহাঙ্গীর আলম নামে এক পাইরকারি ব্যবসায়ী বলেন,‘পেঁয়াজের দাম বাড়ার খবরে ক্রেতাদের মধ্যে হঠাৎ পেঁয়াজ কেনার আগ্রহ বেড়ে যায়। ফলে গত দুই-তিন দিন অনেকে একসঙ্গে বেশি পেঁয়াজ কেনেন। হঠাৎ চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় আড়তদাররাও দাম বড়িয়ে দিয়েছেন। আমরা বেশি দামে কিনলে তো বেশি দমেই বিক্রি করবো।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পেঁয়াজের দাম বাড়ার খবরে অতিরিক্ত লাভের আশায় মো. বাদশা আলম ঝন্টু নামে এক আড়তদার দিনাজপুরের হিলি থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ২১২ বস্তায় ১১ হাজার ৪৮০ কেজি পেঁয়াজ কেনেন। তিনি প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৮৫ টাকা দরে ক্রয় করেন। তবে একদিনের ব্যবধানে জেলায় পেঁয়াজের চাহিদা কমে যাওয়ায় এবং দেশের বিভিন্ন জায়গায় টিসিবি কম মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি শুরুসহ বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের মোবাইল কোর্ট পরিচালনা শুরু হওয়ায় লোকসানের আশঙ্কায় এই ব্যবসায়ী পেঁয়াজ বাইরের জেলার আড়তদারদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন।