বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ৮ দিন আমদানি-রফতানি বন্ধ

দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক বন্ধের কারণে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী-চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে আট দিন আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিকালে বুড়িমারী স্থলবন্দর ব্যবহারকারী বাংলাদেশ ও ভারতীয় সিএন্ডএফ এজেন্ট, আমদানি-রফতানি কারক ও ট্রাক-কাভার্ডভ্যান সমিতির পক্ষ থেকে দেওয়া এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে সারা বাংলাদেশে পণ্য সরবরাহ কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

বুড়িমারী স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, ৪ সেপ্টেম্বর ও ১১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির কারণে বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ থাকে। এবার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বড় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়ে ভারতীয় সিএন্ডএফ এজেন্ট, আমদানি-রফতানি কারক ও ট্রাক-কাভার্ডভ্যান সমিতির পক্ষ থেকে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ও কাস্টম কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়।

পরে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের উৎসব উপলক্ষে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। তবে এসময় স্থলবন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষের অফিস খোলা থাকবে। পাসপোর্টধারী যাত্রীরাও চলাচল করতে পারবেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বুড়িমারী স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট ও রফতানিকারক ব্যবসায়ী শামীম হোসেন বলেন, ‘ভারতীয় ব্যবসায়ীদের অনুরোধে আমরাও আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই বিষয়ে ইতোমধ্যে চিঠিপত্র আদান-প্রদান হয়ে গেছে।’

বুড়িমারী স্থলবন্দর কাস্টমসের সহকারী কমিশনার আব্দুস ছালাম বলেন, ‘ভারতীয় সিএন্ডএফ এজেন্ট, আমদানি-রফতানি কারক ও ট্রাক-কাভার্ডভ্যান সমিতির পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব ধরনের পণ্য আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ এবং পরিবহন কার্যক্রম থাকবে না জানানো হয়েছে। দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরাও আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে আমাদের অফিসিয়াল কার্যক্রম এবং পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।’

এদিকে বুড়িমারী স্থলবন্দর অভিবাসন পুলিশের ইনচার্জ (উপপরিদর্শক) খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, ‘আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালু থাকবে। পূজা উপলক্ষে পাসপোর্টধারী যাত্রীর সংখ্যা অন্য সময়ের তুলনায় বেড়েছে। এজন্য বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।’