শাওনের মায়ের উদ্ধৃতি দিয়ে ছোট ভাই মেহেদী হাসান বাঁধন বলেন, ‘এবার ভাই এসে মাকে বলেছেন, মা আমি যে জায়গায় চাকরি করছি (চট্টগ্রামের বন্দর রোড) সেই জায়গাটা ভালো না। খুব তাড়াতাড়ি অন্যত্র বদলি নেবো।’
বাঁধন বলেন, ‘ভাই বদলি নিয়েছেন, কিন্তু সেটা চিরতরের বদলি! ভাই আর ফিরবেন না। সবাই ভাইয়ের জন্য দোয়া করবেন।’
জানতে চাইলে মেহেদী হাসান বাঁধন বলেন, ‘এটা নিছক দুর্ঘটনা নয়। আমার ভাই গাড়িচালকের আক্রোশের শিকার, এটা হত্যাকাণ্ড।’
একজন দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যকে এভাবে মেরে ফেলা মেনে নেওয়া যায় না, এমন মন্তব্য করে বাঁধন বলেন, ‘আমার ভাই যে এলাকায় দায়িত্ব পালন করতেন, সেই রোডে অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তির গাড়ি চলতো। বিভিন্ন সময় ভাই ওইসব গাড়ির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছেন। এমন নানা কারণে ইচ্ছাকৃত আমার ভাইকে গাড়িচাপা দেওয়া হয়েছে।’
বাঁধন জানান, প্রায় এক সপ্তাহ ছুটি কাটিয়ে ১৩ অক্টোবর কর্মস্থলের উদ্দেশে চট্টগ্রাম গেছেন শাওন। ছুটিতে এসে বাড়িতে অনেক আত্মীয়-স্বজনকে দাওয়াতও খাইয়েছেন তিনি। যাওয়ার আগে স্থানীয় মসজিদ ও কবরস্থানের উন্নয়নে দানও করেছেন।
প্রসঙ্গত, নিহত পুলিশ সার্জেন্ট বকশি মোহাম্মদ আবদুল্লাহর (শাওন) বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের শিবরাম পোড়ামানিকটারী গ্রামে। তার বাবার নাম বকশি মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন ও মায়ের নাম মর্জিনা বেগম। স্ত্রীর নাম মিথিলা।
শাওনের মৃতদেহ নিয়ে আসা তারই সহকর্মী পুলিশ সার্জেন্ট আলমগীর কবির জানান, ঘাতক চালক পালিয়ে গেলেও কাভার্ড ভ্যানটি জব্দ করা হয়েছে। চালকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও খবর...
চট্টগ্রামে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় ট্রাফিক সার্জেন্ট নিহত