ধানের চেয়ে হলুদ চাষে বেশি লাভ




ধানের চেয়ে হলুদ চাষ করে বেশি লাভ পাচ্ছেন কৃষকেরা। তাই নীলফামারীতে হলুদের আবাদ বাড়ছে। সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের চড়চড়াবাড়ী গ্রামের হলুদ চাষি হবিবর রহমান ও সফিউদ্দিন জানান, এক বিঘা জমিতে ৪০-৪৫ মণ হলুদ উৎপাদন হয়। প্রতিমণ হলুদ বিক্রি হয় ৬০০-৭০০ টাকায়। ৪৫ মণ হলুদ বিক্রি করে পাওয়া যায় ৩১ হাজার ৫০০ টাকা। আর একই পরিমাণ জমিতে ৮-১০ মণ আমন ধান উৎপাদন হয়। ১০ মণ ধান বিক্রি করে পাওয়া যায় মাত্র ৩ হাজার ৫০০ টাকা। এতে হলুদ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকেরা।

চাষিরা জানান, একবিঘা জমিতে বীজ সার ও নিড়ানীসহ ১০ হাজার টাকা খরচ করে এক বছরে প্রায় ৬০-৬৫ হাজার টাকার হলুদ বিক্রি করা যায়। এখানকার হলুদের রঙ আকর্ষণীয় ও গুনে-মানে অতুলনীয়। স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হয়।

সদর উপজেলার লক্ষিচাপ ইউনিয়নের লক্ষিচাপ গ্রামের চাষি অনিল চন্দ্র ও পতিরাম রায় বলেন, ‘হলুদ চাষ করে আমরা লাভবান হচ্ছি। আশা করছি, আগামী বছর চাষ আরও বাড়াবো।’ নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক আবুল কাশেম আজাদ বলেন, ‘এ বছর নীলফামারী জেলায় হলুদের চাষ হয়েছে ১ হাজার ৩১০ হেক্টর জমিতে। হলুদ চাষে পোকা মাকড়ের আক্রমণ নেই। বিনা ওষুধে, বিনা সেচে কৃষক ঘরে তুলতে পারে।

কৃষি বিভাগ হলুদ চাষিদের সব রকম কৃষি পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার হলুদের ফলন ভালো হয়েছে। আশাকরি, হলুদ চাষে কৃষক লাভবান ও স্বাবলম্বী হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, সদর উপজেলায় ২৬০ হেক্টর, সৈয়দপুরে ১৫ হেক্টর, ডোমারে ৩৭০ হেক্টর, ডিমলায় ৩৩৫ হেক্টর, জলঢাকায় ১৬০ হেক্টর ও কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ১৭০ হেক্টর জমিতে হলুদ আবাদ হয়েছে।