সাতদিন পর কবর থেকে দুই শিশুর লাশ উত্তোলন

সাতদিন পর কবর থেকে দুই শিশুর লাশ উত্তোলন


মৃত্যুর রহস্য উৎঘাটনের জন্য গাইবান্ধার সাদুল্যাপুরে দাফনের সাতদিন পর মিম খাতুন ও জিহাদ সরকার নামে দুই শিশুর লাশ কবর থেকে তোলা হয়েছে। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের আলদাদপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে তাদের লাশ উত্তোলন করে পুলিশ। আদালতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম ফয়েজ ও সাদুল্যাপুর থানার ওসি মাসুদ রানা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধির উপস্থিতিতে ওই লাশ তোলা হয়।
চার বছরের শিশু মিম আলদাদপুর গ্রামের কৃষক নুরুন্নবী মিয়ার মেয়ে। সাত বছরের জিহাদ একই এলাকার শিপন সরকারের ছেলে। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই-বোন। গত ১৭ জানুয়ারি বিকেলে বাড়ির সামনে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় শিশু মিম ও জিহাদ। পরে বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে স্বজনরা। পরদিন ১৮ জানুয়ারি দুপুরে তাদের লাশ স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।

এদিকে দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় নানা রহস্য ও ব্যাপক জল্পনা-কল্পনার সৃষ্টি হয় গ্রামজুড়ে। এরপর দাফনের তিনদিন পর গত ২১ জানুয়ারি রাতে দুই শিশুকে হত্যার অভিযোগ এনে শিশু মিম খাতুনের বাবা নুরুন্নবী মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে সাদুল্যাপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।

সাদুল্যাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা বলেন, শিশু মিমের বাবার মামলার পর আদালতের নির্দেশে লাশ কবর থেকে তোলা হয়।  ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গাইবান্ধা আধুনিক মর্গে পাঠানো হয়। কিন্তু সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় পরে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে দুই শিশুর মৃত্যুর রহস্য উৎঘাটন সম্ভব হবে।
মামলার বাদী শিশু মিমের বাবা নুরুন্নবী মিয়ার অভিযোগ পানিতে ডুবে মিম ও জিহাদের মৃত্যুর ঘটনা তাদের সন্দেহ হয়। তাছাড়া মিমের গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাদের ধারণা হত্যার পর লাশ ফেলে রাখে দুর্বৃত্তরা। তাছাড়া ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী তাদের চাপ দেয় বলেও অভিযোগ নুরুন্নবীর।