ভজনপুর বাজার এলাকায় সাড়ে চার ঘণ্টা অবরোধের পর দুপুর আড়াইটার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
নিহত জুমারউদ্দিনের (৫৫) বাড়ি তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের গনাগছ গ্রামে। তিনি দেবারুর ছেলে।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. সিরাজউদ্দোলা পলিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাথর শ্রমিকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তার শরীরে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তবে কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে, তা ময়নাতদন্ত না করে বলা যাচ্ছে না।
আহতরা পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী জানান, মূলত বোমা মেশিন চক্রের সদস্য ও সুবিধাভোগীরা শ্রমিকদের উস্কানি দিয়ে মাঠে নামিয়েছে। তারা লাঠিসোটা নিয়ে পুলিশ ও র্যাব সদস্যদের ওপর হামলা করে। ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এমনকি আহত পুলিশদের হাসপাতালে নিতেও বাধা দেয়। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়। তারা পুলিশের বেশ কয়েকটি যানবাহনও ভাঙচুর করে। এতে পুলিশ ও র্যাবের ১১ জন সদস্য আহত হন। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
আহতরা হলো- নীলফামারী র্যাব-১৩ এর ডিএডি আবু বক্কর, র্যাবব সদস্য ফেরদৌস রনি ও সাইদুল ইসলাম, পুলিশের নায়েক মেহেদী হাসান (২৬), কনস্টেবল জয়ন্ত কুমার (২১) ও ইমতিয়াজ (২১), তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের মূর্খাগছ এলাকার অটোভ্যান চালক মোনাজুল (৩০), নিজবাড়ি এলাকার মাহবুব (৩০), কাউরগছ এলাকার নাজমুল হক (৪০), তেঁতুলিয়ার সিপাই পাড়া এলাকার জুমের আলী (২৫), আজিবউদ্দিন (৩৫), শহিদুল (৪০) ও ভোম্বল (৪৫) ও করিমুল (৫২)। গুরুতর আহত আজিবউদ্দিন (৩৫), শহিদুল (৪০), ভোম্বল (৪৫) ও করিমুলকে (৫২) রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
ভজনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোকছেদ আলী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রাবার বুলেট নিক্ষেপের কথা শুনেছি।’