সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে হাইকোর্ট ডিভিশনের ১৯নং বেঞ্চে মামলার এজাহার নামীয় ১০ জনের মধ্যে ছয় নেতা আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
জামিন পাওয়া নেতারা হলেন- পৌর জাপার সভাপতি আবদুর রশিদ ডাবলু, উপজেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান মন্ডল, স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি ছারোয়ার হোসেন বাবু, ছাত্র সমাজের সভাপতি শাহ সুলতান সরকার সুজন, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান নুর ও ইউনিয়ন ছাত্র সমাজের সাংগঠনিক সম্পাদক মমিন মিয়া।
আদালতে নেতাদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেওয়া গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের জাতীয় পার্টির এমপি ব্যারিস্টার শামীম হায়দায় পাটোয়ারী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় ছয় নেতার অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আদেশ দেন হাইকোর্ট ডিভিশনের ১৯নং বেঞ্চের বিচারক। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এবং ষড়যন্ত্রের এই মামলায় নিম্ন আদালতেও আগাম জামিনে উচ্চ আদালতের আদেশ বহালের আশা করেন তিনি। এছাড়া মামলার এজাহার নামীয়সহ গ্রেফতার অন্য নেতাদের জামিনের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, মামলার এজাহার নামীয় উপজেলা যুব সংহতির সাধরণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী রুবেল, তারাপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি জগদিশ কুমার ও কৃষক পার্টির পৌর ওয়ার্ড সভাপতি কামরুল হাসান ঘটনায় আহতের পর থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এছাড়া ঘটনাস্থলে আটক এজাহার নামীয় সাইফুল ইসলাম ও পরে জড়িত সন্দেহে আটক আবদুর রাজ্জাক এবং আবু বক্কর বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী দুর্নীতি-লুটপাটসহ নানা কর্মকাণ্ডে বিতর্কিত প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) নুরুন্নবী সরকারের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে জাতীয় পার্টি ও অঙ্গসংগঠনের ঝাড়ু মিছিলে অতর্কিত হামলা চালায় পিআইও’র ভাড়াটে লোকজনসহ কথিত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশের উপস্থিতি ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও হামলায় উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। হামলার সময় প্রবেশ গেটের ওপর থাকা মুজিবশতবর্ষে ক্ষণগণনা (কাউন্টডাউন) ভাঙচুর অভিযোগে জাতীয় পার্টি ও অঙ্গসংগঠনের ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফেরদৌস হোসেন বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করেন।