নাগেশ্বরী উপজেলার গাগলা বালিকা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবছর মনি মানবিক বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। উপজেলার কুটি বাগডাঙ্গা গ্রামের ফরমান আলী ও রাবেয়া বেগম দম্পতির একমাত্র মেয়ে সে।তাদের আরও দুটি ছেলেও আছে। মনির উচ্চতা মাত্র ৩৩ ইঞ্চি (পৌনে ৩ ফুট)। শারীরিক প্রতিবন্ধকতার জন্য বাবার কোলে করেই কেন্দ্রে যাতায়াত করে সে।
মনির বাবা প্রাইমারি স্কুল শিক্ষক। তিনি জানান, মনির বয়স ১৫ বছর ৩ মাস। জন্ম থেকে সে শারীরিক প্রতিবন্ধী। অন্যের সহায়তা ছাড়া একা একা সে ভালো করে হাঁটতে পারে না। এত প্রতিবন্ধকতার মাঝেও পড়ালোখা করার ইচ্ছটা তার প্রবল। সেই জোরেই লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘একটাই মেয়ে আমার, অনেক আদরের। কষ্ট একটাই, মেয়েটা অন্য সবার মতো স্বাভাবিক নয়। মেয়েটা যদি অন্য সবার মতো স্কুলে যাওয়া-আসা করতে পারতো।’
কথাগুলো বলতে বলতে গলা ভারী হয়ে যায় ফরমান আলীর। নিজেকে সামলে নিয়ে বলেন, ‘ও যতদূর পর্যন্ত পড়াশোনা করতে চায় করবে।’
মনি তার ইচ্ছা সম্পর্কে বলে, ‘আমি পড়াশোনা শেষে একটা চাকরি করতে চাই।’
গাগলা বালিকা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘মনি শারীরিক প্রতিবন্ধী হলেও লেখাপড়ায় মোটামুটি ভালো। আশা করি সে এসএসসিতে ভালো রেজাল্ট করবে।’
নাগেশ্বরী আদর্শ পাইলট দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব মোশারফ হোসেন বলেন, ‘আমি যতবার হল পরিদর্শনে গিয়েছি ততবারই দেখেছি মেয়েটি মনোযোগ দিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে। আমি ওর সফলতা কামনা করি।’