হিলি রেলপথে আরও ১৬শ' টন পেঁয়াজ আমদানি

ট্রেন থেকে পেঁয়াজ খালাস করে ট্রাকে তোলা হচ্ছেদিনাজপুরের হিলি রেলপথ দিয়ে ভারত থেকে দ্বিতীয় দফায় এক হাজার ৬০০ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। সোমবার (১ জুন) সকাল সোয়া ১০টায় ভারতের মহারাষ্ট্রের নাসিক থেকে পেঁয়াজের এই চালান নিয়ে ভারতীয় মালবাহী ট্রেনটি হিলি রেলস্টেশনে পৌঁছায়। এর আগে ২৮ মে এই রেলস্টেশন দিয়ে একই পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করা হয় ভারত থেকে।

এদিকে, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হওয়ায় পাইকারি বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে। বর্তমানে এসব পেঁয়াজ ২১ থেকে ২৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে প্রথম চালানের সময় ২৪ থেকে ২৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল।

ট্রেন থেকে পেঁয়াজ খালাস করে ট্রাকে তোলা হয়েছেআজ যে চালানটি এসেছে তা মেসার্স সুমাইয়া ট্রেডার্সের আমদানি করা। ইতোমধ্যে ট্রেন থেকে পেঁয়াজগুলো খালাস শুরু হয়েছে। এসব পেঁয়াজ রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক সাইফুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, 'দেশের মোট চাহিদার বেশিরভাগ পেঁয়াজ হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আসে। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ভারত ও বাংলাদেশে সাধারণ ছুটি ও লকডাউন ঘোষণা করায় দুই মাসের বেশি সময় ধরে আমদানি-রফতানি বন্ধ ছিল। ফলে দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কমায় দাম বাড়তে থাকে। এই অবস্থায় সরকার অনুমতি দেওয়ায় ভারত থেকে দেশে রেলপথ দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। আগামী ৫ জুন আরও একটি পেঁয়াজবাহী ট্রেন হিলি রেলস্টেশন এসে পৌঁছাবে। এভাবে রেলপথ দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকলে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করবে।’

ট্রেনে আমাদানি করা পেঁয়াজ হিলি রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার রুহুল আমিন বলেন, ‘এক হাজার ৬০০ টন পেঁয়াজ নিয়ে ৪২টি বগি-সম্বলিত ভারতীয় মালবাহী ট্রেন দর্শনা রেলস্টেশন হয়ে সোমবার সকালে হিলি রেলস্টেশনে পৌঁছায়। ট্রেনটি থেকে পেঁয়াজ খালাস করা হচ্ছে।’