শুক্রবার (৩ জুলাই) সকালে জেলা শহরের বিভিন্ন কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকায়, আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। দুই দিন আগে (বুধবার) ওই মরিচ খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছিল ২০০ টাকায়। আর আদা প্রকার ভেদে ৬০ টাকা বেড়ে, খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়।
জেলা শহরের কিচেন মার্কেটে প্রকার ভেদে ৮০ টাকার রসুন ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৩৪ টাকার পেঁয়াজ ৪০ টাকা, চিনি ৫৬ টাকার চিনি ৬০ টাকা, খেসারির ডাল কেজিতে ৮ টাকা বেড়ে ৬৫ টাকা, ছোলা বুট ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৬৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।
ওই মার্কেটের হোটেল ব্যবসায়ী রহমত আলী বলেন, 'গত মাসের চেয়ে মাছের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। রুই প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, কাতল ২৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০ টাকা, শিং মাছ ৩৫০ টাকা, সরপুঁটি ১৮০ টাকা, পাঙ্গাশ ১১০ টাকা, ইলিশ প্রতি কেজি প্রকার ভেদে ৮০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়াও দেশি মাগুর ৬৮০ টাকা, হাইব্রিড মাগুর ৩২০ টাকা, পাবদা ৩৬০ টাকা এবং গলদা চিংড়ি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়।
ওই মার্কেটের খুচরা ব্যবসায়ী ইলিয়াজ আলী (৩২) ও তাহের মিয়া (৬০) জানান, আদা, রসুন ও কাঁচা মরিচের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এ ছাড়াও বন্যার পানিতে মরিচের ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় কেজিতে দাম বেড়েছে ৭০-৮০ টাকা। আপরদিকে, আদারও কেজি প্রতি দাম বেড়েছে ৬০-৭০ টাকা। তারা বলেন, 'স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত মরিচ একেবারেই বন্ধ। বন্যার পানিতে পুরাতন আদা পচে যাওয়ায় এমনটি হয়েছে। আবার অনেকেই করোনার দোহাই দিয়ে বাড়তি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। বর্ষা বেরিয়ে গেলে তখন বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।'
ক্রেতা মৌরী বেগম ও আলেয়া বেগম অভিযোগ করেন, 'লকডাউনের ধুয়া তুলে ব্যবসায়ীরা কিছুদিন আগে লুটেপুটে খেলো। আর এখন বন্যার কথা বলে বাজার গরম করে রেখেছে। আমাদের আয় কম। আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের মিল রেখে বাজার ঘাট করতে হয়। এভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম তরতর করে বেড়ে গেলে বাঁচার উপায় নেই। বাজারে নিয়ন্ত্রণ না থাকায় দোকানদাররা নিজের মতো করে অতিরিক্ত মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছে।'
জেলা মার্কেটিং কর্মকর্তা এটিএম এরশাদ আলম খান জানান, দোকানিদের মূল্য তালিকা টাঙানোর জন্য বলা হয়েছে। ক্রেতাদের অভিযোগ শিকার করে তিনি বলেন, 'দেশি আদা, রসুন ও কাঁচা মরিচের সরবরাহ কমায় বাজার একটু বেড়েছে। বন্যার পানিতে মরিচের ক্ষেত ও আদার জমি তলিয়ে যাওয়ায় এমনটি হচ্ছে। প্রতি বছর এ সময় ওইসব পণ্যের বাজার বেড়ে যায়। তবে অসাধু ব্যবসায়ীদের ধরতে আমাদের বাজার মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে।'