যৌতুক না পেয়ে হাত-পা বেঁধে গৃহবধূকে নির্যাতন

রংপুররংপুরের পীরগঞ্জে দুই লাখ টাকা যৌতুক না পেয়ে স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম মুন্নীর হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বামী জুয়েল মিয়া ও তার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে। সোমবার (৬ জুলাই) রাতে উপজেলার শানেরহাট ইউনিয়নের কাজীরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ওই গৃহবধূকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

ঘটনার পর থেকেই স্বামী জুয়েলসহ পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছেন। পীরগঞ্জ থানার ওসি-তদন্ত মাসুমুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, শানেরহাট ইউনিয়নের কাজীরপাড়ার মৃত ডিপটি মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়া ১০ বছর আগে বিয়ে করে রংপুর সিটি করপোরেশনের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের ধর্মদাস মিলনপাড়ার নুরুল ইসলামের মেয়ে নুরুন্নাহার বেগম মুন্নীকে। তাদের এক ছেলে আছে। বিয়ের পর জুয়েলকে মোটা অঙ্কের যৌতুক দিলেও আরও ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে মুন্নীকে প্রায়ই মারধর করে। অসহায় মুন্নীর পরিবার টাকা দিতে ব্যর্থ হলে তাকে শারীরিক নির্যাতনে শ্বশুর বাড়ির লোকজনও অংশ নেয়।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার সন্ধ্যায় মুন্নীর স্বামী, ননদ, ভাসুর, চাচি শ্বাশুড়িসহ কয়েকজন তাকে হাত-পা বেঁধে বেদম মারপিট করে বাড়িতেই ফেলে রাখে। খবর পেয়ে মুন্নীর স্বজন ও এলাকাবাসী পীরগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় হাত বাঁধা অবস্থায় মুন্নীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানকার চিকিৎসক ডা. সামিনা জানান, মুন্নীর শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

পীরগঞ্জ থানার ওসি-তদন্ত মাসুমুর রহমান জানান, ওই নারীকে যৌতুকের জন্য হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করার সত্যতা পাওয়া গেছে। এস আই সুশীল রায়ের নেতৃত্বে পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।