পানি কমলেও খাদ্য সংকটে ডিমলার বানভাসিরা

নীলফামারীরর তিস্তা ব্যারেজ এলাকাডিমলা উপজেলার ডালিয়া পয়েন্টে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও দুর্ভোগ কমেনি ছয়টি ইউনিয়নের ৩ হাজার ২৪৫ বানভাসি পরিবারের। বন্যার পর তিস্তা পাড়ের মানুষের দিন কাটছে চরম দুর্ভোগে।

শুক্রবার (৪ জুলাই) সকাল ৬টায় বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হয় সেখানে। অবস্থার উন্নতি হতে হতে মঙ্গলবার (৭ জুলাই) বেলা ৩টায় পানি প্রবাহিত হয় বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক উপসহকারী প্রকৌশলী আমিনুর রশিদ এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

এ অবস্থায় বানভাসিদের হাতে কাজ না থাকায় দেখা দিয়েছে খাদ্যাভাব। কিছু পরিবার শুকনো খাবার খেয়ে দিন কাটাচ্ছে। গবাদিপশু খাদ্য এবং বিশুদ্ধ পানিরও (সুপেয়) সংকট দেখা দিয়েছে।

উপজেলার খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের কিশামত ছাতনাই গ্রামের বানভাসি হবিবর রহমান (৫০) জানান, উজানের পানি বাড়লে তিস্তার পানি বেড়ে যায়। নিমিষেই তলিয়ে যায় এলাকার শত শত গ্রাম। রক্ষা করা যায় না বাস্তুভিটা, ঘর-বাড়ি, গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি, ফসল, বীজতলা ও শত শত একর আয়তনের পুকুরের মাছ।

উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান জানান, বানভাসি মানুষের বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন করা জরুরি হয়ে পড়েছে। ঘর-বাড়ি স্থাপন, শৌচাগার ও ফসলি জমির বীজ সরবারহ একান্ত দরকার।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ডালিয়া ডিভিশনের গেজ পাঠক (পানি পরিমাপক) মো. নুরুল ইসলাম বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জেলা ত্রাণ, দুর্যোগ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এসএ হায়াত জানান, ডিমলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩ হাজার ২৪৫ পরিবারকে ১৫ কেজি করে চাল ও শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নদী ভাঙনের শিকার ৭৯ পরিবার নগদ ২ হাজার করে পেয়েছেন।