ফের বিপদসীমার ওপরে তিস্তার পানি

তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপরে



উজানের পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে আবারও তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ স্লুইস গেট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে উপজেলার ৫ ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষ। 

পাউবোর গেজ পাঠক নুরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার (১০ জুলাই) সকাল ৬টায় তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও  বিকাল ৩টা থেকে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
পাউবোর ডালিয়া বিভাগের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও দুপুরের পর উজানের ঢলে ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তা দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ঘর-বাড়ি ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে লোকজন
উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ময়নুল হক জানান, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পূর্বখড়িবাড়ীর দিঘিরপাড়, চরখড়িবাড়ী, পশ্চিম টাপুর চর, পাগলীর বাজার, একতার বাজার, বাংলাপাড়া, উত্তর খড়িবাড়ী, পূর্বখড়িবাড়ীর বেশ কিছু মানুষ পাউবোর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। 
এছাড়াও পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের ঝাড় সিংহেরশ্বর ও পূর্বছাতনাই এলাকার ৬টি ওয়ার্ডের ১ হাজার ৪০ পরিবার, ঝুনাগাছচাপানী ইউনিয়নের ভেন্ডাবাড়ী ও সাতুনামা এলাকার ৬০ পরিবার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। 
এদিকে, খালিশা চাপানী ইউনিয়নের বাইশপুকুর, ছোটখাতা এলাকার ৮০০ পরিবার, খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের কিসামত ছাতনাই ও দোহলপাড়া মৌজার তিস্তার চর এলাকার ৪০০ পরিবার এবং গয়াবাড়ী ইউনিয়নের উত্তর গয়াবাড়ী গ্রামের ২২০ পরিবারসহ মোট ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। 

তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপরে
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যারাজের ৪৪টি স্লুইস গেট খুলে দিয়েছে পাউবো। এছাড়াও কর্মকর্তা কর্মচারী সব সময় সতর্কবস্থায় রয়েছে। 
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায় বলেন, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীবেষ্টিত বেশকিছু এলাকার ঘরবাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনসহ সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়ে সব সময় খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে।