সেখানে দুই দেশের বিশেষজ্ঞরা ট্রেন চলাচলের বিষয়ে চুড়ান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালায়। একইভাবে ভারতের একটি রেল ইঞ্জিন গত ৮ অক্টোবর সকাল ১১টার দিকে বাংলাদেশ অংশে প্রবেশ করে। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থানের পর আবার তা ফিরে যায়। আজ বিকালে বাংলাদেশের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে দেয় ভারতীয় রেলওয়ে কতৃপক্ষ।
সুত্র জানায়, স্বাধীনতার ৫৫ বছর পর আগামী ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আনুষ্ঠানিকভাবে এটির উদ্ধোধন করবেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল জোনের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আব্দুর রহিম জানান, আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ থেকে একটি বিশেষজ্ঞ দল একটি রেলওয়ে ইঞ্জিন নিয়ে ভারতে গেছে। সেখানে ভারতীয় বিশেষজ্ঞ দলের সঙ্গে দুই দেশের ট্রেন চলাচলের বিষয়েও আলোচনা করেছে। বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, পশ্চিমাঞ্চল জোনের প্রধান প্রকৌশলী আল ফাতাহ মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান, প্রধান পরিবহন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, পাকশি রেলওয়ে বিভাগের ব্যবস্থাপক শাহিদুল ইসলাম প্রমুখ। ভারতের পক্ষে ছিলেন, উত্তর-পূর্ব রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী জেপি শিং, উপপ্রধান প্রকৌশলী ভিকেমিনা ও নির্বাহী প্রকৌশলী পিকেজে।
উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সালে পাক-ভারত বিভক্তির পরও দুই দেশের যাত্রী ও মালবাহী রেল চলাচল করতো। ১৯৬৫ সালে পাক ভারত যুদ্ধের পর রেলপথটি বন্ধ হয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে গিয়ে রেলপথটি চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
বাংলাদেশের রেলপথটি চালু করতে মোট ব্যয় হয়েছে ৮০ কোটি ১৭ লাখ টাকা। এই প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে চিলাহাটি থেকে সীমান্ত পর্যন্ত ৬ দশমিক ৭২৪ কিলোমিটার ব্রডগেজ ও ২ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার লুপ লাইন নির্মাণসহ অন্য অবকাঠামো। গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর চিলাহাটি রেল স্টেশন চত্বরে প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধন করেন রেলপথমন্ত্রী।