শনিবার (২১ নভেম্বর) আশুড়ার বিল দখল করে পুকুর তৈরির সময় বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পরিমল কুমার সরকারের নেতৃত্বে সেখানে অভিযান চালিয়ে মুক্তার হোসেন (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ইউএনও বন্ধ করে দিয়েছেন আশুড়ার বিল দখল করে চারটি পুকুর তৈরির কাজ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পুকুরবাণিজ্যকারী প্রভাবশালীদের ইন্ধনে অবৈধ দখলদাররা কয়েকমাস আগে আশুড়ার বিলের পানি ধরে রাখার জন্য নির্মিত ক্রসড্যামের বাঁধ কেটে দেন। গত তিন সপ্তাহ আগে আশুড়ার বিলে পনি ধরে রাখার জন্য ক্রসড্যামের সংস্কার কাজ শুরু করে প্রশাসন। এ সময় স্থানীয় প্রভাবশালীদের ইন্ধনে কতিপয় দখলদার সংস্কার কাজে বাঁধা দিয়ে সেখানে অবস্থান নেন। এর ফলে আশুড়ার বিলটি পানিশূন্য হয়ে পড়ে। এরপর পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী, স্থানীয় ভূমিদস্যু প্রভাবশালীরা ইচ্ছামতো বিলের জায়গা দখল করে তাতে ভেকু মেশিন দিয়ে দিন-রাত সমানভাবে মাটি খনন করে পুকুর তৈরি করতে থাকেন। স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করেন, নবাবগঞ্জের কহিনুর, রুহুল, রওশন, শাহিনুর; বিরামপুরের মিজানুর, তাইজুদ্দিনসহ কয়েকজন প্রভাবশালী গত তিন সপ্তাহের মধ্যে আশুড়ার বিল দখল করে ২৬টি পুকুর খনন করেছেন।
বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পরিমল কুমার সরকার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিল দখল করে তাতে পুকুর তৈরির অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ও বনবিভাগের কর্মকর্তাসহ সেখানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় বিরামপুর অংশে চারটি পুকুর তৈরির কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দখলদারদের অনেকেই দাবি করেছেন, সরকারের কাছ থেকে পত্তন নেওয়া জমিতে পুকুর তৈরি করা হচ্ছে। কিন্তু পত্তন নেওয়া জমির শ্রেণি পরিবর্তনের কোনও সুযোগ নেই।’
দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলম বলেন, ‘বিল দখলকারীরা যত বড় প্রভাবশালীই হোক না কেন, তাদের সবাইকেই আইনের আওতায় আনা হবে। বিল, বন দখলকারী এবং ইন্দনদাতাদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।’