শীত জেঁকে বসেছে নীলফামারীতে

ঘনকুয়াশায় ঢাকা পড়েছে চারপাশ

নীলফামারীতে জেঁকে বসেছে শীত। গত তিনদিন থেকেই আকাশ মেঘলা। সঙ্গে আছে ঘন কুয়াশা। এতে বেড়েছে শীতের প্রকোপ। সন্ধ্যা নামলে পথঘাট, হাট-হাজার জনশূন্য হয়ে পড়ে। রাতে তাপমাত্রা আরও কমে যায়। 

শনিবার (২৮ নভেম্বর) সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বয়স্করা কাঁথা জড়িয়ে গুটিসুটি হয়ে বসে আছেন। গবাদি পশুর গায়ে চট জড়িয়ে গরম পানি খাওয়াতে দেখা গেছে। স্থানীয় হাসপাতালে বাড়ছে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা। এদের মধ্যে অধিকাংশই নিউমোনিয়া ও সর্দি জ্বড়ে আক্রান্ত।

ঘনকুয়াশায় ঢাকা পড়েছে চারপাশ
নীলফামারী সৈয়দপুর বিমান বন্দর আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া সহকারী লোকমান হাকিম জানান, সকালে জেলার সর্বনিন্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫. ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ধারণা করা হচ্ছে, এটি ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস ও উত্তর পশ্চিম দিক থেকে আসা ঠান্ডা বাতাসের কারণে ঠান্ডা বেশি অনুভূত হচ্ছে। এই আবহাওয়া স্থায়ী হতে পারে।
জেলা শহরের নিউ বাবুপাড়া মহল্লার বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম জানান, এবার একটু আগাম শীত এসে পড়েছে। কারণ রাতে কাঁথা কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমাতে হয়। মনে হয় যেন শীত জেঁকে বসেছে। বয়স্কদের সকাল বেলা আগুন পোহাতে দেখা যায়।

ঘনকুয়াশায় ঢাকা পড়েছে চারপাশ
নীলফামারী চেম্বার অব কর্মাচের জেষ্ঠ্য সহসভাপতি ফরহানুল হক জানান, সন্ধ্যার পর পরেই কুয়াশা ও ঠান্ডা বাতাস অনুভূত হয়। এছাড়াও সকাল ৯ টা পর্যন্ত দুর-পাল্লার যানবাহন হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। 
নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. এনামুল হক জানান, জেলায় এবার আগাম শীত পড়েছে। শীতের সময় ভাইরাজ জনিত রোগ বৃদ্ধি পেতে থাকে। যাতে বয়স্ক ব্যক্তি ও শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়। তাপমাত্রা কম থাকায় শীতে ভাইরাস জাতীয় রোগ আরও বেশী শক্তিশালী হয়। তাই করোনা প্রতিরোধে হাত বার বার ধোঁয়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় ও মাস্কর ব্যবহার করা একান্ত জরুরি। 

ঘনকুয়াশায় ঢাকা পড়েছে চারপাশ
জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, শীত মোকাবিলায় প্রশাসনের ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে। এই জেলায় কোনও মানুষ যাতে শীতে কষ্ট না পায়, সেজন্য সরকারের ত্রাণ তহবিল থেকে শীত বস্ত্র মজুদসহ আরোও বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।