২৫ হাজার কৃষকের মাঝে করোনা প্রতিরোধী ধান বীজ বিতরণ

 



জিংকসমৃদ্ধ ধান বীজ প্রধান করা হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা গুরুত্ব দিচ্ছেন করোনা সংক্রমণ মোকাবেলায় মানবদেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তথা ইমিউনিটি অর্জনের ব্যাপারে। যার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান জিংক। দৈনন্দিন খাদ্যাভাসের মধ্য দিয়ে মানবদেহে এই জিংকের ঘাটতি পূরণে উচ্চ ফলনশীল জিংকসমৃদ্ধ ধান উৎপাদন বৃদ্ধিতে জনসাধারণকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।

তারই অংশ হিসেবে শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) ঠাকুরগাঁওয়ের ২৫ হাজার কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে জিংক ধান বীজ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদুর রহমান।

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজিত বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম। এতে মানবদেহে জিংকের অভাব পূরণে জিংক চালের ভাত খাওয়ার উপকারিতা তুলে ধরে বক্তব্য দেন হারভেস্ট প্লাস বাংলাদেশের রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের এগ্রিকালচারাল রির্সাস অ্যান্ড ডেভলপলমেন্ট কর্মকর্তা রুহুল আমিন, প্রজেক্ট অফিসার সিরাজুল ইসলাম, মামুনুর রশিদ প্রমুখ।
এসব বীজ বেসরকারি সংস্থা হারভেস্ট প্লাস বাংলাদেশ সরবরাহ করে। সহায়তায় কৃষি অধিদফতর ও ওর্য়াল্ড ভিশন বাংলাদেশ।  
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য জাহিদুর রহমান বলেন, শরীরে জিংকের উপাদান বাজার থেকে কিনে পূরণ করা অনেক ব্যয়বহুল ও কষ্টসাধ্য। যাতে করে মানুষ দৈনন্দিন খাবারের মধ্য দিয়েই জিংকের ঘাটতি ও অপুষ্টি পূরণ করতে পারে সে  জন্য এই করোনাকালে জিংক ধান উৎপাদন অত্যন্ত সমোয়পযোগী পদক্ষেপ। তিনি জিংক ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সংসদে প্রস্তাব পেশ করবেন বলেও জানান।    
হারভেস্ট প্লাস বাংলাদেশের রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের এগ্রিকালচারাল রিসার্স অ্যান্ড ডেলপলমেন্ট কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুহুল আমিন বলেন, এ বছর রবি মৌসুমে হারভেস্ট প্লাস মোটা ও চিকন এই দুই রকম মিলিয়ে ২৫ হাজার কৃষকের মধ্যে মোট ৫ হাজার হেক্টর জমির জন্য জিংকসমৃদ্ধ ধান বীজ সরবরাহ করেছি। এই বীজ থেকে এ মৌসুমে প্রায় ২৫ হাজার মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হবে বলে আমরা আশা করছি, যা জেলার মানুষের জিংকের চাহিদা পূরণ করে অন্য জেলাতেও পাঠানো সম্ভব হবে।

এসময় অনুষ্ঠানে বিভিন্ন এলাকার কৃষাণ-কৃষাণীগণ এ ধান উৎপাদনের ব্যাপক আগ্রহ প্রকাশ করেন।  
ঠাকুরগাঁওয়ের সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজার রহমান সরকার বলেন, চলমান করোনা যুদ্ধের দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রমে জিংকসমৃদ্ধ ধান উৎপাদনের এই ব্যাপক উদ্যোগকে আমরা অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক বলে মনে করছি।