হাসপাতালের সানশেড থেকে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার, নারী আটক

54নাটোর সদর হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডের টয়লেটের সানশেডের ওপর থেকে শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে এক নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনার পর ওই ওয়ার্ডের এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। ওই নারী বৃহস্পতিবার গভীর রাতে টয়লেটে একাকী ওই সন্তান প্রসবের পর মৃত দেখে জানালা দিয়ে ছুড়ে ফেলে দেয় বলে পুলিশের কাছে শিকার করেছে। সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক আনছারুল হক এবং সদর থানার এসআই রফিকুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন।

ওই নারীর বরাত দিয়ে আনছারুল হক ও রফিকুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন ধরে মাথার যন্ত্রণা, খিঁচুনি ও হার্টের অসুখে ভুগছে ওই নারী। গত ৯ ডিসেম্বর সে সদর হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হয়। গত রাত আড়াইটার দিকে টয়লেটে যাওয়ার পর তার মৃত কন্যাশিশুর জন্ম হয়। সে শঙ্কিত হয়ে পড়ে; কেননা তার স্বামী, অন্য কেউ, এমনকি সে নিজেও ঘটনাটি জানে না। বিষয়টি জানাজানি হলে স্বামী, স্বজন বা প্রতিবেশীরা অন্যভাবে নিতে পারে—এমন ভাবনা থেকে সে ওই টয়লেটের জানালা দিয়ে শিশুটির মরদেহ ফেলে দেয়। কিন্তু সানশেডের কার্নিশে নবজাতকটি আটকে যায়। স্থানীয়রা সকালে শিশুটিকে দেখে খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার ও নারীকে আটক করে। ওই নারী ঘটনাটি স্বীকার করলে মরদেহ দাফনের জন্য পরিবারকে দেওয়া হয়।

ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হলেও হাসপাতালের চিকিৎসকরা কেন বুঝতে পারেননি এবং এ ক্ষেত্রে তাদের কোনও গাফিলতি থাকলে সে বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে নাটোরের সিভিল সার্জন মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি চিকিৎসকরা কেন বুঝতে পারেননি, সে ব্যাপারে তদন্ত করা হবে।’