বিএসএফের গুলিতে  নিহত কালামের লাশ দাফন

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার ঝালঙ্গী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি আবুল কালামের(৩০) লাশ ময়না তদন্ত শেষে শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

শুক্রবার ভোর সকাল সাড়ে ৪টায় ভারতীয় কোচবিচার-১৪০ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ডোরাডাবরী বিএসএফ ক্যাম্পের টহল দলের গুলিতে আবুল কালাম নিহত হন। নিহত আবুল কালাম পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের পকেট এলাকার মৃত জয়নুল হকের ছেলে।

লালমনিরহাট সদর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে আবুল কালামের লাশের ময়না তদন্ত করা হয়।

পাটগ্রাম থানার ওসি সুমন কুমার মোহন্ত বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদনে নিহত আবুল কালামের গলায় এবং থুতনিতে গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়। ময়না তদন্ত প্রতিবেদনে একই রিপোর্ট পাওয়া গেছে।

তিনি আরও বলেন, আবুল কালামের ময়না তদন্ত শেষে লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

লালমনিরহাট সদর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. আরিফুজ্জামান আবুল কালামের শরীরে দুইটি গুলির চিহ্ন পাওয়া সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে, শুক্রবার বিকালে এই ঘটনায় রংপুর-৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের বুড়িমারী কোম্পানি কমান্ডার খলিলুর রহমান ও কোচবিহার-১৪ বিএসএফ ব্যাটলিয়নের ডোরাডাবরী কোম্পানি কমান্ডার এসি বিবেক শর্মার নেতৃত্বে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে বিএসএফ গুলি করার কথা অস্বীকার করেছে বলে বিজিবি সূত্র দাবি করেছে।

উল্লেখ্য, গত ১৬ ডিসেম্বর পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ইসলামপুর এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (২২) গুরু আনতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন। এক মাস পাঁচ দিনের ব্যবধানে ওই ইউনিয়নে আবুল কালামসহ তিন বাংলাদেশি বিএসএফের গুলিতে নিহত হলেন। গত ১০ ডিসেম্বর আবু তালেব (৩২) নামে অপর এক গরু পারাপারকারী বিএসএফের গুলিতে নিহত হন।

আরও পড়ুন-

ফের লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত