কাজীর আগেই হাজির হলো পুলিশ!

রাত বাজে নয়টা, ঘরোয়া ভাবে বিয়ের প্রায় সব আয়োজন শেষ। এখন অপেক্ষা শুধু কাজী আসার। তারপরেই আইনের তোয়াক্কা না করেই সম্পন্ন হবে বাল্যবিবাহ। তবে কাজী আসার আগেই বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হয় পুলিশ। বিয়ে পণ্ড হওয়ায় রক্ষা পায় কিশোরী।

বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার মরিচা গ্রামের ফুয়াদুল হাসানের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া মানতারাখা খাতুন (১৩) এর সঙ্গে ঢাকা মিরপুর-১০ এর ওয়াহিদ উল্লার ছেলে ইমরান হোসাইন (১৯) এর বাল্যবিবাহের প্রস্তুতি চলছিল। এই তথ্য পেয়ে ঘোড়াঘাট থানার উপ-পরিদর্শক ফজলার রশিদের নেতৃত্বে উপ-পরিদর্শক খুরশীদ জাহান ও সহকারী উপ-পরিদর্শক আসমা খাতুন মেয়ের এক নিকট আত্মীয়ের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বর-কনেসহ উভয় পক্ষের অভিভাবককে থানায় নিয়ে আসে।

ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে কাগজ পত্র যাচাই-বাছাই শেষে দেখা যায় বর ও কনে উভয়েই অপ্রাপ্ত বয়স্ক। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ইউএনও জরিমানা করা হয়।

ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাফিউল আলম জানান, বাল্যবিয়ের দায়ে ছেলে পক্ষকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং মেয়ে পক্ষকে সর্তক করা হয়েছে। গত ৩ মাসে ঘোড়াঘাট উপজেলায় পাঁচটি বাল্যবিবাহ বন্ধ করা গেছে।