তীব্র শীত ও কুয়াশায় হিলি বন্দরে পণ্য খালাসে ধীর গতি

তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে আমদানি করা পণ্য খালাসে ধীর গতি দেখা দিয়েছে। শৈত্যপ্রবাহের কারণে শীতের তীব্রতা বাড়ায় প্রতিদিন যেখানে সকাল ১০টা থেকে কার্যক্রম শুরু হতো সেখানে এখন কাজ শুরু হচ্ছে দুপুর ১২টারও পর। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন এতে আমদানি-রফতানি কার্যক্রমে কোনও প্রভাব পড়ছে না।

হিলি স্থলবন্দরের শ্রমিক শেরেগুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই ঠাণ্ডা বেড়েছে। সঙ্গে যোগ হয়েছে ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাস। এজন্য আমরা বন্দরে ঠিকমতো কাজ করতে পারছি না। আগে প্রতিদিন সকাল ১০টার মধ্যে কাজ শুরু হতো, সেখানে এখন অনেক সময় লাগছে। শীতের কারণে কাজের দেরি হয়ে যাচ্ছে।

অপর শ্রমিক জাহিদুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, প্রচণ্ড শীতের কারণে আমরা ঠিকমতো বস্তা তুলতে পারছি না। এ কারণে কাজ খুব একটা হচ্ছে না। শীত আর ঘন কুয়াশার মাঝে যাওয়া আসার কারণে ও কাজ করায় আমাদের জ্বর-সর্দি ও কাশিসহ নানা ধরনের অসুখ হচ্ছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার অনেক বেশি শীত। এর ওপর শীতের কাপড় না থাকায় আরও বেশি কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে।

উষ্ণতার খোঁজে আগুন পোহাতে ব্যস্ত শ্রমিকরাস্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, কয়েকদিন ধরেই উত্তরবঙ্গে শীতের প্রকোপ অনেকটা বেশি। এর সঙ্গে বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরছে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। এরমধ্যে গত তিন দিন ধরে হিলিতে সূর্যের দেখা নেই। শীতের কারণে হিলি স্থলবন্দরের কার্যক্রম চালু থাকলেও পণ্য খালাস কার্যক্রম কিছুটা বিলম্বিত হচ্ছে। বন্দরে কর্মরত শ্রমিকরা আসতে দেরি করছেন। এ কারণে বন্দরের ভেতরে পণ্য খালাস কার্যক্রম শুরু হতেও কিছুটা বিলম্বিত হচ্ছে। শীতের প্রকোপ কমে গেলে শ্রমিকরা যথাসময়ে আসলে আবারও স্বাভাবিক অবস্থায় বন্দরের অভ্যন্তরে পণ্য খালাস কার্যক্রম চালু হবে বলে জানান তিনি।

আবহাওয়া অধিদফতর দিনাজপুরের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আজকে দিনাজপুরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আমাদের এই অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। আর এ কারণে বাড়তি শীত অনুভূত হচ্ছে। আগামী এক-দুদিন এমন অবস্থা থাকবে, পরে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। এর পর থেকে ধীর ধীরে নিয়মিতভাবে দিন ও রাতের তাপমাত্রা বাড়বে বলে জানান তিনি।