ঠাকুরগাঁও জেলা আ.লীগ অফিসে ককটেল বিস্ফোরণ

ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের অফিসে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোস্তাক আলম টুলু।

পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত দেখে বিএনপির লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের।

জেলা আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের অফিসের তিন তলায় কয়েকজন নেতাকর্মী বসেছিলেন। এ সময় নিচ থেকে একটি বিস্ফোরণের শব্দ আসে। পরে দলের লোকেরা বেরিয়ে আসামাত্র আরেকটি বিস্ফোরণ ঘটে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে জেলা আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোস্তাক আলম টুলু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নজমুল হুদা শ্যাহ অ্যাপোলো, সাধারণ সম্পদাক কামরুজ্জামান সুনাম, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান বাবু প্রমুখ।

অ্যাডভোকেট মোস্তাক আলম টুলু বলেন, ‘বিএনপির লোকেরাই এই ধরনের নোংরা কাজ করছে। তারা ছাড়া এই কাজ কেউ করবে না। কারণ তারা জানে জনগণ এবার নৌকার পক্ষে। তাই তারা নির্বাচনের পরিস্থিতি খারাপ করতে এ ধরনের কাজগুলো করছে। এর আগে ভোরে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নৌকার অফিসে আগুন দিয়েছে তারা। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।’

তবে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান বলেন, ‘দিনে-দুপুরে আওয়ামী লীগের অফিসে ককটেল বিস্ফোরণ বিএনপির কাজ নয়। তারা নিজেরাই হামলা করে এখন বিএনপির ওপর দোষ চাপাচ্ছে। এটা একটা নাটক, যার রিহার্সেল চলছে বেশ ক’দিন ধরে। পৌর নির্বাচনে যাতে বিএনপির কর্মীরা প্রচার চালাতে না পারে সেজন্য হুমকি দিয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। ভোটারদের উদ্দেশ্যে জেলা নেতৃত্ব পর্যায় থেকে বলা হচ্ছে, যারা নৌকায় ভোট দেবেন তারা ভোট কেন্দ্রে যাবেন, অন্য কেউ নয়। এরই ধারাবাহিকতায় এ নাটক সাজিয়ে ধানের শীষের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা ও হয়রানি করা হচ্ছে।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভিরুল ইসলাম বলেন,’পরপর দুটি ঘটনা ঘটেছে। এই বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’