ভোটকেন্দ্রে ছবি তোলায় সাংবাদিককে লাঞ্ছিতের অভিযোগ

লালমনিরহাট পৌরসভা নির্বাচনে সাপটানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে বিএনপির কমিশনার প্রার্থীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের ক্যাডারদের হাতাহাতির ছবি তোলায় সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। শুধুমাত্র নারী ভোটারদের জন্য কেন্দ্রটি নির্ধারিত হলেও সকাল থেকেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতারা সেখানে দলে দলে উপস্থিত হয়ে প্রভাব বিস্তার করতে থাকে। এসময় সেখানে বিভিন্ন অপবাদ দিয়ে বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক ও ক্যাডারদের মারধর ও কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। এ ঘটনার ছবি তুলতে যাওয়ায় দ্য ইনক্যাপের সাংবাদিক সুফি মোহাম্মদকে মারধর করা হয়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। কেন্দ্রে পুলিশ থাকলেও সরকারদলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে তারা কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে
সাংবাদিক সুফি মোহাম্মদ জানান, কেন্দ্রটি নারী ভোটারদের জন্য নির্ধারিত। তবে সেখানে সকাল থেকেই কেন্দ্রটির মাঠে ও প্রবেশ গেটে নারী ভোটারদের চেয়েও আওয়ামী লীগের নেতা- কর্মীদের ভিড় করতে থাকে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমানের নেতৃত্বে দলটির কিছু নেতা কেন্দ্রটি পরিদর্শনে যান। এসময় মাঠে অন্য দলের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। হঠাৎ আওয়ামী লীগ নেতা সুমন খান মাঠে ফাঁকা জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকা ওই ওয়ার্ডে বিএনপির কমিশনার প্রার্থী আব্দুস সালামকে দেখিয়ে তুচ্ছ ঘটনায় অভিযুক্ত করতে থাকে। আব্দুস সালাম এর প্রতিবাদ করতে গেলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় তাকে কেন অভিযুক্ত করা হচ্ছে এটা আওয়ামী লীগের একজন সিনিয়র নেতা জানতে চাইলে দলীয় নেতাদের মধ্যেও কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে।
ওই সময়ে পাওয়া ভিডিওতে এর সত্যতা মিলেছে।
এদিকে, এ ঘটনার পরপরই সেখানে একাধিক প্রার্থীর সমর্থকদের ধাওয়া দিয়ে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনা ঘটলেও পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে।
আর এ ঘটনার ছবি তোলায় ইনক্যাপের সাংবাদিক সুফি মোহাম্মদকে কিল-ঘুষি মেরে তার ফোন কেড়ে নেয় সুমন খান ও তার ক্যাডাররা। পরে অন্য সাংবাদিকরা এগিয়ে এলে তার ফোন ফেরত দেওয়া হয়।
আহত সাংবাদিক সুফি মোহাম্মদ জানান, ওই কেন্দ্রে দায়িত্বপালন করার সময় আওয়ামী লীগ নেতা সুমন খান ও তার ক্যাডাররা আমার ওপরে হামলা চালায়। এসময় দৌড়ে গিয়ে একজন পুলিশের পেছনে আশ্রয় নেওয়ায় আমি কোনোমতে রক্ষা পাই।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি।

জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মঞ্জুরুল আহসান বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত নই। দুপুর পর্যন্ত কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। কেউ লিখিতভাবে কোনও অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।