‘হামলার বিচার না পেলে পৌর নির্বাচন করবো না’

আসন্ন নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভা নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. সিদ্দিকুল আলম বলেছেন, আমার দলীয় নেতা-কর্মীর ওপর আওয়ামী লীগ নেতার নেতৃত্বে হামলা, মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের বিচার না হলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবো। সারারাত ধরে লাগানো পোস্টার কেন ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে তারও সুষ্ঠু বিচার চাই।

রবিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সৈয়দপুরের ইকু হেরিটেজ হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

তার দাবি, শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে নির্বাচনি পথসভা শেষ করে শহরের গোলাহাট হয়ে নির্বাচনি অফিসে আসার পথে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী হামলা চালায় আ.লীগ নেতা হিটলার চৌধুরী ভুলুর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা দুটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় এবং ১৪টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। তাদের হাতে আমার কয়েকজন কর্মী ও সমর্থক গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের প্রথমে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতাল ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরমধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান তিনি।

সিদ্দিকুল আলম বলেন, লাঙ্গলের গণজোয়ার দেখে এই নগ্ন হামলা চালানো হয়েছে।

২০ ফেব্রুয়ারি রাতে হামলা চালিয়ে জাতীয় পার্টির সমর্থকদের মোটরসাইকেল ভাঙচুর

তিনি আরও বলেন, আমরাও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করি। তাই তাকে নিয়ে কটূক্তি করা বা ছবি ভাঙচুর করার অভিযোগ মোটেই সত্য নয়। হামলার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনার, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানিয়েছি এবং থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আশাকরি, আমি সুষ্ঠু বিচার পাবো।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দপুর পৌর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন, উপজেলা জাপার যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. সুরত আলীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পৌরসভায় মেয়র পদে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের রাফিকা আকতার জাহান ( নৌকা), বিএনপির আলহাজ মো. রশিদুল হক সরকার (ধানের শীষ), জাপার আলহাজ সিদ্দিকুল আলম (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাফেজ নূরুল হুদা (হাতপাখা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে রবিউল আউয়াল রবি (মোবাইল ফোন) ভোটের মাঠে রয়েছেন।