পঞ্চগড়ে আদালত চত্বরে একটি মামলার বাদীপক্ষের তিন নারী ও শিশুকে মারপিট করা হয়েছে। ওই মামলার বিবাদী পক্ষের আনোয়ার হোসেন, তার স্ত্রী শ্রুতি বেগম এবং তার বোন রুবিনা খাতুন বাদীপক্ষের লোকজনদের ওপর এই হামলা করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এক নারীকে আটক করা রয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পঞ্চগড় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলার পর আহতরা প্রায় আধাঘণ্টা মাটিতে পড়ে ছিলেন। খবর পেয়ে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ছবি তোলা শুরু করলে পুলিশ তৎপর হয়ে ওঠে। কোর্ট পুলিশ পঞ্চগড় সদর উপজেলার টুনিরহাট বানিয়াপাড়া এলাকার মকছেদুল ইসলামের স্ত্রী আজিমা খাতুন (২৮), তার প্রতিবন্ধী মেয়ে মারিয়া শেখ (৫) আজিমার মা সকিনা বেগম (৫০), খালা রহিলা বেগমকে (৪৫) আহতাবস্থায় উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ ফেব্রুয়ারি বাড়ির গাছের ডালপালা কাটাকে কেন্দ্র করে পঞ্চগড় সদর উপজেলার টুনিরহাট বানিয়াপাড়া এলাকার মকছেদুল ইসলাম ও প্রতিবেশী আজিরত ইসলামের পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় মকছেদুলের পরিবারের বেশ কয়েকজন আহত হন। ১০ ফেব্রুয়ারি মকছেদুল বাদী হয়ে আজিরতসহ ৮ জনের নামে আদালতে মামলা করেন। ওই মামলায় মঙ্গলবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে আসামিরা জামিন আবেদন করলে আদালত আজিরত ও রয়েল নামের দুই আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং বাকি আসামিদের জামিন মঞ্জুর করেন। এ ঘটনায় বিবাদী পক্ষের আনোয়ার হোসেন, তার স্ত্রী শ্রুতি বেগম এবং তার বোন রুবিনা খাতুন ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন এবং মারপিট শুরু করেন।
পঞ্চগড় আদালতের পরিদর্শক মকবুল হোসেন বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে আমরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা করি। একইসঙ্গে রুবিনা খাতুন (৩৩) নামের এক নারীকে আটক করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশকে জানিয়েছি। এখন তারা ব্যবস্থা নেবে।’
পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ওই ঘটনায় এক নারী আটক রয়েছে। এ বিষয়ে থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।