প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারণা: ৫ নারীসহ গ্রেফতার ১১

প্রেমের ফাঁদে ফেলে ডেকে নেওয়ার পর মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে প্রতারক চক্রের মূল হোতা সুমী ও তার ৫ নারী সঙ্গীসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। শুক্রবার (৫ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মেট্রোপলিটান পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ। 

ওসি জানান, গ্রেফতারকৃতরা রংপুরের বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া নিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে যৌনকর্ম এবং পরে তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে আটকে রেখে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করতো। নীলফামারী জেলার শৈলমারী গ্রামের নজম উদ্দিনের ছেলে রেজাউল ইসলামকে ফাঁদে ফেলে আটকিয়ে আড়াই লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় তারা। তার অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে পুলিশ নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের মূল হোতা ধাপ এলাকার বীণা রানী ওরফে মুক্তা ওরফে সুমি, কচি, জাহাঙ্গীর আলম, আহসান হাবীব, শ্রী বিষ্ণু রায়, সেকেন্দার, রাজা, শ্যামল, সোহাগী, জোনাকি, জান্নাতুল ফেরদৌস, শাহনাজ, লিজা ও মনিকে গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে একজন পুলিশ সদস্যের স্ত্রী রয়েছে বলেও ওসি জানিয়েছেন।

প্রতারক চক্রের কয়েকজন নারী সদস্যতাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহার করা ১৩টি মোবাইল ফোন, তিনটি ব্যাংক এটিএম কার্ড এবং নগদ ২২ হাজার টাকাও উদ্ধার করা হয়। পুলিশ বলছে, এই সংঘবদ্ধ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে রংপুর মহানগরীতে প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারণার মাধ্যমে মানুষকে জিম্মি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতো। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা করা হয়েছে।