হঠাৎ ঝড়ে লণ্ডভণ্ড শতাধিক কলার বাগান 

দিনাজপুরের বিরামপুরে কালবৈশাখী ঝড়ে প্রায় শতাধিক কলার বাগান লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত কলা চাষিদের দাবি এতে তাদের প্রায় কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) রাতে বিরামপুরের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে এই ক্ষয়-ক্ষতির ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে শুক্রবার (৯ এপ্রিল) বিকালে কলাচাষের জন্য পরিচিত উপজেলার চকহরিদাসপুর এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় শতাধিক কলার বাগান পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। সবগুলো গাছেই ছিল কলার ছড়ি। ফলনের আগে হঠাৎ ঝড়ে বাগান নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চাষিরা।

চকহরিদাসপুুর গ্রামের কলাচাষি সাইদুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এনজিও থেকে এক লাখ টাকা ঋণ নিয়ে দেড় বিঘা জমিতে কলা চাষ করেছিলাম। গত রাতের ঝড়ে কলাবাগান পুরোটাই নষ্ট হয়ে গেছে। এতে করে প্রায় এক লাখ টাকার ওপরে ক্ষতি হয়েছে।

কলাচাষি মহসিন মিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আর ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে গাছ থেকে কলার ছড়ি নামানো হতো। কিন্তু গতকালের ঝড়ে দুই বিঘা জমির বাগান পুরোটাই নষ্ট হয়ে গেছে।

টেগরা গ্রামের কলাচাষি রবিউল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, রমজানকে কেন্দ্র করে চাষ করা হয়েছিল। তবে ঝড়ে বাগানগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চাষিরা দুচোখে অন্ধকার দেখছেন। ঝড়ে এলাকার প্রায় শতাধিক বাগান নষ্ট হয়ে গেছে। এতে প্রায় কোটি টাকার ওপরে ক্ষতি হয়েছে। তিনি ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকারি সহায়তার দাবি জানান।

বিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিকছ্ন চন্দ্র পাল বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ঝড়ে ৬ থেকে ৭ হেক্টর জমির কলা নষ্ট হয়েছে। ক্ষয়-ক্ষতির বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

দিনাজপুর-৬ আসনের এমপি শিবলী সাদিক বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, বিরামপুরের ক্ষতিগ্রস্ত কলাচাষিদের তালিকা তৈরির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের ক্ষতিপূরণে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।