বাস চলে জেলার, যাত্রী আন্তজেলার

তিন সপ্তাহ পর দিনাজপুর সড়কে বৃহস্পতিবার (৬ মে) থেকে শুরু হয়েছে বাস চলাচল। এতদিন পর বাস চলাচল শুরু হওয়ায় স্বস্তির কথা বলছেন যাত্রীরা। তবে জেলার ভেতরে বাস চলাচল শুরু হলেও তেমন যাত্রী নেই বলে জানিয়েছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। জেলার বাইরে বা অন্য জেলার সঙ্গে বাস চলাচল না করলেও অধিকাংশ যাত্রী-ই বাস পরিবর্তন করে চলাফেরা করছে দুই থেকে তিন জেলা পর্যন্ত (আন্তজেলার মত)। আবার কেউ কেউ আবার তারও বেশি। অর্থাৎ জেলার মধ্যে বাস চলাচল শুরু হলেও যাত্রীরা বেশিরভাগই আন্তজেলার। বাসযাত্রী ও স্টাফদেরও অনেককে দেখা গেছে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করতে।

তবে যাত্রীরা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলাফেরা করছেন তারা। আতিবুর রহমান নামে এক যাত্রী বলেন, আমি রংপুর থেকে দিনাজপুরে এসেছি একটি কাজে। আগে গাড়ি বন্ধ থাকায় যাতায়াতের বেশ সমস্যা হয়েছে। এখন দুই একটা গাড়ি চলছে জেলা ভিত্তিক। ফলে আমরা চলাচল করতে পারছি, আন্তজেলায় গাড়ি না চললেও তো যাতায়াত করতে পারছি।

আল-আমীন নামে এক যাত্রী এসেছেন ঠাকুরগাঁও থেকে। তিনি বলেন, গাড়ি বন্ধ থাকায় মানুষ চলাফেরা করতে পারেনি। এখন মানুষের বেশ উপকার হচ্ছে। আমি ঠাকুরগাঁও থেকে এসেছি, এখন আবার ঠাকুরগাঁওয়ে ফিরে যাচ্ছি। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এক সিট ফাঁকা রেখে চলাফেরা করছি।

যাত্রী জবেদ আলী বলেন, কয়েক দিন ধরে যানবাহন বন্ধ থাকায় সমস্যা ছিল। আমি বীরগঞ্জ থেকে এসেছি একটি কাজে। যানবাহন বন্ধ থাকায় রিকশা-অটোতে করে আসা খুব কষ্ট ছিল। এখন গাড়ি চলাচল করায় আমরা সহজে বিভিন্ন ধরনের কাজগুলো শেষ করতে পারছি।

নুরন্নবী নামে এক চালক বলেন, বাংলাদেশে আইনের ঊর্ধ্বে কেউই নয়। আমরা আইনকে শ্রদ্ধা করি। গাড়ি বন্ধ ছিল, একটু কষ্ট করেই চলেছি। জেলার মধ্যেই গাড়ি চালাচ্ছি, তবে যাত্রী কম। এরপরও বিষয়টি মেনে নিয়েছি।

সাজিদ হোসেন নামে এক চালক বলেন, আমরা খুব করুণ অবস্থায় আছি। যাত্রী ভালোভাবে পাওয়া যাচ্ছে না, তেলের টাকাও হচ্ছে না। রাস্তার মধ্যে পুলিশ চেক করছেন, যাত্রী বেশি হলে জরিমানা করছেন। এজন্য ঠিকভাবে আমরা গাড়ি চালাতে পারছি না।

দিনাজপুর কলেজ মোড় এলাকার বুকিং মাস্টার ছুটু বলেন, যাত্রী তেমন নেই। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলছি। দূরপাল্লার গাড়ি চললে ঠিকভাবে চলতে পারবো।