বিরামপুরে আগাম ঈদ উদযাপন

চাঁদ দেখা অনুযায়ী সারাদেশে শুক্রবার পবিত্র ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু দিনাজপুরের বিরামপুরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দুটি ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের শতাধিক মানুষ মসজিদে আগাম ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ মে) সকাল আটটায় বিরামপুর উপজেলার খয়েরবাড়ি-মির্জাপুর গ্রামের মসজিদে ও একই সময় আয়ড়া বাজার মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। দুটি জামাতে ১৫ গ্রামের প্রায় ১শ’ ১৫ জন মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করেন। খয়েরবাড়ি মির্জাপুর জামে মসজিদে দেলোয়ার হোসেন কাজী এবং অন্যটিতে মাওলানা ইলিয়াস আলী নামাজে ঈমামতি করেন। ঈদের জামাতে পুরুষ মুসল্লির পাশাপাশি নারী মুসল্লিরাও উপস্থিত ছিলেন।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দূর দূরান্তের গ্রামের মুসল্লিরা কেউবা ভ্যানে করে আবার কেউবা বাইসাইকেলে করে আবার কেউবা মোটরবাইক যোগে একত্রিত হতে থাকে। এদিকে বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

ঈমাম দোলোয়ার হোসেন কাজী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য মাত্র তিন ঘণ্টা। এই তিন ঘণ্টার ব্যবধানে দিনের পরিবর্তন হয় না। তাই সৌদি আরবে যেহেতু আজ ঈদ উদযাপিত হচ্ছে সেহেতু তাদের সঙ্গে মিল রেখে এই ঈদের নামাজ আদায় করা।

তিনি আরও বলেন, আবার হযরত মুহাম্মদ (স.) জন্মগ্রহণ করেন ১২ রবিউল আওয়াল সোমবার কিন্তু যদি দিন ধরা হয় তাহলে আমাদের দেশে সেই দিন হয় মঙ্গলবার। আবার রমজানে ২৭ তারিখে আমরা ‘লাইলাতুল কদর’ রাতে ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহকে খুঁজি কিন্তু দিন হিসেবে আমরা একদিন পর সেই রাতকে খুঁজতেছি। এমন বিভিন্ন চিন্তা ও হাদিসি ব্যাখ্যার কারণে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করছি।

অপর ঈমাম দেলোয়ার হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘১৯৯৭ সাল থেকে এভাবে নামাজ আদায়ের পরিকল্পনা থাকলেও গত ২০১৩ সাল থেকে আমার সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে এখানে নামাজ আদায় করছি। তবে দিন দিন মুসল্লির সংখ্যা বাড়ছে, গতবার যে মুসল্লি হয়েছিল তার চেয়ে এবার মুসল্লির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিরামপুর থানার এসআই নুরুল আমিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সারাদেশে আগামীকাল পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন হলেও আজ বিরামপুর উপজেলায় আয়ড়া মোড়ে এবং খয়েরবাড়ি মসজিদে এই এলাকার বেশ কিছু মুসল্লি ঈদ উদযাপন করছেন ও ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখানে যেন কোন ধরনের অপ্রীতিকর কোন ঘটনা না ঘটে সেই জন্য বিরামপুর থানা পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।