গোবর ফেলা নিয়ে ঝগড়া, থামাতে গিয়ে একজন নিহত

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে তাজমুল ইসলাম (৪০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় চিরিরবন্দর থানা পুলিশ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ৬ জনকে আটক করেছে।

শনিবার (১৫ মে) সকাল আনুমানিক ৬টায় উপজেলার অমরপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর (ডাঙ্গাপাড়া) এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত তাজেমুল ইসলাম ওই এলাকায় অফুর শাহের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপুর এলাকায় বসবাসরত আজোম উদ্দীনের (৭০) সঙ্গে প্রতিবেশী ময়নুল ইসলামের (৬০) গরুর গোবর ফেলা’কে কেন্দ্র করে শুক্রবার পবিত্র ঈদের দিন বিকাল থেকে ঝগড়া শুরু হয়। এরই সূত্র ধরে শনিবার সকালে উভয় পক্ষের মধ্যে রাস্তার ওপরে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে দেশি অস্ত্র দিয়ে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় প্রতিবেশী অফুর শাহের ছেলে রাজমিস্ত্রি তাজেমুল ইসলাম (৪০) ঝগড়া থামাতে এলে ময়নুল ইসলামের হাতে থাকা শাবলের আঘাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষ আজোম উদ্দীন (৭০), তার মেয়ে বুলবুলি আক্তার (৩২) ও নাতি সুমন ইসলাম (১৬) আহত হয়। আহতরা বর্তমানে দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ময়নুল ইসলাম (৫৫), শাহাজান আলী (৩০), শাহিন মিয়া (২৫), শাহানাজ বেগম (৪৫), সিরাজুল ইসলাম (৩২), মমতাজ বেগম (২৪)-কে আটক করে। পরে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

চিরিরবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ সুব্রত কুমার সরকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ঘটনায় মৃত ব্যক্তির স্ত্রী উম্মে কুলসুম (৩২) বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ১০ জন নামীয় আসামি ও ২/৩ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করা হয়েছে।