ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানিতে অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত

পেঁয়াজ আমদানির জন্য অনুমতিপত্র বা ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) না থাকায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বন্ধ রয়েছে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি। গত কয়েক দিনের ব্যবধানে হিলিসহ সারাদেশে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকায় মূল্য নিয়ন্ত্রণে আমদানির অনুমতি দিতে সম্মত হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এদিকে, আমদানির অনুমতি দেওয়ার খবরে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন আমদানিকারকরা। আগামী সপ্তাহ থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হতে পারে বলে জানায় হিলি স্থলবন্দর সূত্র।

দেশীয় কৃষকদের পেঁয়াজ চাষে উৎসাহিত ও ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সম্প্রতি পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বা আইপি দেওয়া বন্ধ করে দেয় সরকার। যার কারণে ২৯ এপ্রিল থেকে হিলিসহ দেশের বিভিন্ন বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মোবারক হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, অনুমতি শেষ হয়ে যাওয়ায় গত ২৯ এপ্রিল থেকে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। এর পরপরই আমরা বন্দরের আমদানিকারকরা আমদানির অনুমতি বা আইপি চেয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদন করেছিলাম, কিন্তু তারা সেটি গ্রহণ করছিলেন না। সম্প্রতি তারা আবেদন গ্রহণ করছেন। আগামীকাল থেকে হয়তো বা তারা আইপি ইস্যু করবেন। আমি নিজে ২ হাজার টনের আইপি চেয়ে আবেদন করেছি। আমার মতো বন্দরের আরও আমদানিকারক বেশ কয়েক হাজার টনের আইপির জন্য আবেদন করেছেন। আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। আইপি পেলে আগামী সপ্তাহ থেকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হবে। আর সেটা শুরু হলে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দামের যে ঊর্ধ্বমুখী অবস্থা সেটি কমে আসবে বলেও জানান তিনি। ইতোমধ্যে আইপি দেওয়ার কথা শুনে পেঁয়াজের দাম মণপ্রতি ২শ’ টাকা কমে গেছে।

হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, কয়েক দিন বন্ধ থাকার পর আবারও ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য অনুমতিপত্র বা আইপি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সেটা গতকাল আমরা জেনেছি। সে মোতাবেক পেঁয়াজের আইপির জন্য আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত আইপি অনুমোদন ইস্যু হয়নি, হয়তো বা আজ রাতে বা কালকে থেকে শুরু হয়ে যাবে। এতে আগামী সপ্তাহ থেকে আবারও হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হবে।