সংক্রমণরোধে হিলি স্থলবন্দরের জন্য নতুন ৩ সিদ্ধান্ত

সম্প্রতি দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর ও সীমান্তবর্তী এলাকায় করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে আরও তিনটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসব সিদ্ধান্ত দ্রুত হিলি স্থলবন্দরে কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভাকক্ষে উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির এক বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশীদ, পৌরমেয়র জামিল হোসেন, বন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা.গাদ্দাফি শিকদার, হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদ, হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাহিলি কাস্টমস সিআ্যন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল আজিজসহ অনেকে।

হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর-এ আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সংক্রমণ রোধে আগের সিদ্ধান্তের পাশাপাশি নতুন করে আরও তিনটি সিদ্ধান্ত নেওযা হয়েছে। সিদ্ধান্তগুলো হলো- আমদানিকারক সিআ্যন্ডএফ এজেন্ট ও বন্দরের কর্মকর্তা কর্মচারী যারা রয়েছে সবার স্থলবন্দরে ঢোকার ও বের হওয়ার ক্ষেত্রে স্যানিটাইজড হতে হবে। যাতে করে তাদের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে না পারে। এজন্য বন্দরের প্রবেশপথে জীবাণুনাশক টানেল স্থাপন করা হবে। একইসঙ্গে বন্দরে ভারত থেকে পণ্য নিয়ে আসা ট্রাকচালকদের অবস্থানের জন্য অস্থায়ী শেড নির্মাণ করা হবে। যেখানে ভারতীয় ট্রাকচালকরা বন্দরে পণ্য নিয়ে এসে ট্রাক রেখে ওই স্থানে থাকবে। সেখানে নিরাপত্তা কর্মী পাহারায় থাকবে। তার ট্রাকের মালামাল খালাস হয়ে গেলে সে বের হয়ে ট্রাক নিয়ে পুনরায় ভারতে চলে যাবে। এছাড়াও হিলি স্থলবন্দরের চেকপোস্ট গেট থেকে শুরু করে বন্দরের গেট পর্যন্ত এই সড়কে পুলিশের টহল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে করে ভারত থেকে পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে আসা কোনও চালক ট্রাক থামিয়ে স্থানীয় কোনও দোকান থেকে পণ্য কিনতে না পারে।

এছাড়া আগের জারি করা বিধিনিষেধ, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও মাস্ক পরিধান করে সবার চলাচল করা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম অব্যাহত রাখা, ভারতীয় চালক ও সহকারীদের বন্দরে প্রবেশ সীমান্তের শূন্যরেখায় স্যানিটাইজড করা, ট্রাকগুলোকে জীবাণুনাশক করা, বন্দরে কর্মরত শ্রমিকসহ সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাস্ক পরিধান করে কার্যক্রম পরিচালনা করার বিষয়গুলো পালন করা হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।