শর্ত না মানলে হিলিতে আমদানি-রফতানি বন্ধ, ভারতীয় ব্যবসায়ীদের চিঠি

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্য সব ধরনের পণ্য আমদানি-রফতানি করতে হবে। এই শর্ত না মানলে অনির্দিষ্ট কালের জন্য আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকবে জানিয়ে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের চিঠি দিয়েছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। সীমিত পরিসরে ও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্য আমদানি-রফতানি চালু রাখতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের দেওয়া চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে তারা এ কথা জানিয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে ভারতের হিলি এক্সপোর্টার্স অ্যান্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ধীরাজ অধিকারী স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ শর্তের কথা জানায় তারা।

চিঠিতে হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপ ও বাংলা হিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনকে বলা হয়েছে, ‘বুধবার (৯ জুন) সকাল থেকে ভারতীয় সময় বিকাল ৪টা পর্যন্ত সব ধরনের পণ্য আমদানি-রফতানি করতে হবে। অন্যথায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দু দেশের মাঝে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ থাকবে। যদি আপনারা আমাদের এই প্রস্তাবের সমর্থন করেন তবে আমাদের উদ্দেশে অবশ্যই অঙ্গীকারপত্র পাঠাবেন। সেই সঙ্গে আগামী শুক্রবার আপনাদের সঙ্গে প্রস্তাবিত সভায় যথা সময়ে আমরা মিলিত হবো।’

বাংলাহিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল আজিজ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ভারতীয় ব্যবসায়ীরা আবারও নতুন করে রাতে আমাদের একটি চিঠি পাঠিয়েছে। সেই চিঠির আলোকে আমরা বৈঠকে বসেছি। বৈঠক চলমান রয়েছে, বৈঠক শেষে সিন্ধান্ত আপনাদের জানাতে পারবো।’

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি হিলিতে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সীমিত পরিসরে আমদানি-রফতানি চালু রাখতে এবং ভারত থেকে আসা ট্রাকের চালক ও সহকারীদের ৮ জুন থেকে টিকা গ্রহনের কার্ড ছাড়া প্রবেশ করতে না দেওয়ার কথা জানিয়ে গত ৬ জুন ভারতীয় ব্যবসায়ীদের পত্র দেয় বাংলাহিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন। এর জবাবে পাল্টা চিঠিতে তারা জানায়, ভারতে টিকার সংকটের কারণে সব চালকদের টিকা দেওয়া সম্ভব নয়। এছাড়া আগের মতো সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আমদানি- রফতানি চালুর দাবি জানায় তারা। অন্যথায় ৯ জুন থেকে বন্দর দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য আমদানি-রফতানি বন্ধের কথা জানায় তারা। এরপর মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের পক্ষ আবারও চিঠি দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত আমদানি-রফতানি চালু থাকবে। এ সময়ে ৫০ ট্রাক শুকনো পণ্যের সঙ্গে পেঁয়াজ-আদা-রসুন, গমের ভূষি যা থাকবে সব গ্রহণ করা হবে এবং আগের মতো বন্দর দিয়ে সীমিত পরিসরে আমদানি-রফতানি স্বাভাবিক রাখার অনুরোধ জানানো হয়। এর পরে তারা আবার নতুন শর্ত দিয়ে মঙ্গলবার পত্র দিলো।