স্ত্রীকে ধর্ষণ ও স্বামীকে বলাৎকার, কারাগারে ৪ যুবক 

পঞ্চগড়ে অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূকে ধর্ষণ ও তার স্বামীকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তরা এ ঘটনা মোবাইলফোনে ধারণ করে চাঁদা দাবি করেছেন বলেও জানা গেছে। রবিবার (১১ জুলাই) রাতে জেলার সদর উপজেলার পঞ্চগড় ইউনিয়নের জগদল দক্ষিণ গোয়ালপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটলেও সোমবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যায় তা জানাজানি হয়। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার নারী ও তার স্বামী বাদী হয়ে স্থানীয় রনি ইসলাম (২৪), নুর হোসেন (২১), শাহিন হোসেন (২১) ও জয়নুল হকের (২৫) নামে পর্নোগ্রাফি আইনে এবং জয়নুল হকের (২৫) নামে পৃথক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পঞ্চগড় সদর থানায় দুটি মামলা দায়ের করেন। 

পরে পুলিশ অভিযুক্ত জয়নুল হক, রনি ইসলাম, নুর হোসেন ও শাহিন হোসেনকে গ্রেফতার করে। আসামিদের থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) আদালতের মাধ্যম কারাগারে পাঠানো হয়। 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ফিরোজ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, চার যুবকের নামে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা হয়েছে। এরমধ্যে ৩৭৭ ধারা অনুযায়ী বলাৎকারে বিষয়ে অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়া অভিযুক্ত একজনের বিরুদ্ধে পৃথকভাবে অন্তঃসত্ত্বা নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

এদিকে ধর্ষণের শিকার নারীর মেডিক্যাল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে তিনি পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাতে পঞ্চগড় জেলার সদর উপজেলা পঞ্চগড় ইউনিয়নের জগদল দক্ষিণ গোয়ালপাড়া এলাকার জয়নুল, রনি, নুর হোসেন ও শাহিন নামে চার যুবক একই এলাকার এক দিনমজুরকে চা পাতা কাটার কথা বলে ডেকে নেয়। পরে তারা ওই দিনমজুরের লুঙ্গি, জামা-কাপড় খুলে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে এবং ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ারও হুমকি দেয়। তবে টাকা দিতে অস্বীকার করলে তারা ওই পুরুষকে বলাৎকার করে। পরে অভিযুক্ত জয়নুল ওই দিনমজুরের ঘরে প্রবেশ করে টাকা-পয়সা লুট করে ও ভয় দেখিয়ে তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকেও ধর্ষণ করে।

সকালে ওই দিনমজুর ও তার স্ত্রী এসব ঘটনা পরিবারের সদস্যদের জানালে পরিবারের লোকজন স্থানীয়দের সহযোগিতায় অভিযুক্ত চার যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। 

পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু আককাছ আহম্মেদ বলেন, এ ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। গ্রেফতার চার যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।