হিলিতে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে মসলার বাজার

দুই দিন পরই পবিত্র ঈদুল আজহা। এই ঈদে প্রয়োজনীয় মসলা কিনতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দিনাজপুরের হিলিতে ভিড় করেন ক্রেতারা। প্রতিবছর ঈদের আগে মসলার দাম বাড়লেও এবারের চিত্র অনেকটা উল্টো। সব ধরনের মসলার দাম কম হওয়ায় শেষ মুহূর্তে বেচাকেনা জমে উঠেছে। আর দাম কম পাওয়ায় খুশি ক্রেতারা।

সোমবার (১৯ জুলাই) হিলি বাজারে বগুড়া থেকে মসলা কিনতে আসা রেজাউল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আগামী পরশু ঈদ। কোরবানির গরু কেনা হয়ে গেছে। এখন মসলার দরকার। তাই হিলিতে এসেছি। বাজারে জিরা, কালো ও সাদা এলাচসহ প্রয়োজনীয় মসলা কিনলাম। তবে দাম গতবারের চেয়ে কিছুটা কম। এতে আমাদের মতো ক্রেতাদের বেশ সুবিধা হয়েছে।

আরেক ক্রেতা স্থানীয় বাসিন্দা আজিজুল হক বলেন, গতবারের চেয়ে এবার মসলার দাম কম বলে মনে হচ্ছে। গতবার যে সাদা এলাচ তিন হাজার টাকা কেজি নিয়েছিলাম, এখন সেটা কমে পাওয়া যাচ্ছে। যে জিরা ৩০০ টাকা কেজি ছিল, তা এখন ২৭০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। মোটামুটি সব ধরনের মসলার দাম নাগালের মধ্যে। আমরা স্বল্পমূল্যে মসলা কিনতে পারছি।

দাম কম পাওয়ায় খুশি ক্রেতারা
 
হিলি বাজারের মসলা বিক্রেতা আওলাদ হোসেন বলেন, সব ধরনের মসলার দাম কমেছে। আগে এক কেজি জিরার প্যাকেট ছিল ২৯০ থেকে ২৯৫ টাকা। দাম কমে এখন হয়েছে ২৭০ টাকা। সাদা এলাচ আগে দুই হাজার ৮০০ থেকে তিন হাজার ৫০০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও, বর্তমানে তা কমে দুই হাজার থেকে দুই হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর কালো এলাচের দাম কমে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লবঙ্গের দাম একটু বেড়ে এক হাজার টাকা কেজি, গোল মরিচ আগের মতোই ৬০০ টাকা কেজি। দারুচিনি আগে ২৮০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও, বর্তমানে তা একটু বেড়ে ৩৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

আরেক মসলা বিক্রেতা বিশ্বনাথ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ঈদের বেশি দিন বাকি না থাকায় বাজারে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। বেচাকেনাও ভালো হচ্ছে। করোনা ও লকডাউনের কারণে আগে যেমন বাইরের মানুষ আসতো, মসলা কিনতে সে তুলনায় এবারে ক্রেতা কম আসছে। তাই গত ঈদের চেয়ে বেচাকেনা তুলনামূলক একটু কম মনে হচ্ছে। এখনও দুই দিন সময় রয়েছে। এই কয়েকদিনে আরও বিক্রি হবে।

বাজারে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে

হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ বলেন, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দেশের বাজারে মসলার ব্যাপক চাহিদার কথা মাথায় আমরা অনেক আগে থেকেই হিলিসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে মসলা আমদানি করেছি। ইতোমধ্যে দেশের বাজারে ব্যাপক পরিমাণ মসলাজাতীয় পণ্য এসেছে। তাই ঈদে দেশের বাজারে মসলার ব্যাপক সরবরাহ রয়েছে। দাম কমেছে সব ধরনের মসলার। ঈদকে ঘিরে বাজারে মসলার দাম বাড়ার কোনও আশঙ্কা নেই বলেও জানান তিনি।