সচ্ছলদের উপহারের ঘর দেওয়ার অভিযোগে মানববন্ধন

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছি ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর বরাদ্দে অনিয়ম ও সচ্ছলদের দেওয়ার অভিযোগ তুলে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। সেখানে প্রকৃত গৃহহীনদের ঘর দেওয়ার দাবি জানান তারা।

সোমবার (১৯ জুলাই) দুপুরে পাঁচগাছি ইউনিয়নের শতাধিক নারী-পুরুষ কুড়িগ্রাম শহরে এসে প্রেসক্লাবের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন করেন। এ সময় তারা সচ্ছল পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে ঘর ফেরত নিয়ে প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে ঘর বরাদ্দের দাবি জানান।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া পাঁচগাছি ইউনিয়নের বাসিন্দা আরিফ ইসলাম, নাসরিন বেগমসহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় কুড়িগ্রামের সদর উপজেলার পাঁচগাছি ইউনিয়নে ১০০টি ঘর নির্মাণ করা হয়। এসব ঘর উপকারভোগীদের মাঝে ইতোমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। সরকারি এসব ঘরের উপকারভোগীর তালিকায় অনেক সচ্ছল পরিবারের একাধিক সদস্য রয়েছেন।

তারা বলেন, গ্রামের একজন বিত্তশালী ও ভূমির মালিকের দুই মেয়ে ও দুই ছেলেসহ ওই ব্যক্তির ২৭ জন নিকট আত্মীয়ের নামে ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ফলে ওই ইউনিয়নের প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষ প্রধানমন্ত্রীর এ মানবিক উপহার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। গ্রামের ওই ‘বিত্তশালী’র সঙ্গে উপজেলা প্রশাসনের ‘নিবিড় যোগাযোগ’ রয়েছে আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ওই ব্যক্তি তার পরিবারের লোকজন ও আত্মীয় স্বজনকে ঘর পাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন মানববন্ধনে অংশ নেওয়া এলাকাবাসী।

পাঁচগাছি এলাকার বাসিন্দা আলমগীর হোসেন অভিযোগ করে বলেন, তারা জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট দফতরে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেও কোনও ফল পাচ্ছেন না। ঘর বরাদ্দে অনিয়মের সব তথ্য-প্রমাণ আমাদের কাছে রয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করা হলে সব তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করা হবে।

প্রসঙ্গত, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ধরলা অববাহিকায় পাঁচগাছি ইউনিয়নে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় প্রায় ১০০ ঘর বরাদ্দ দেয় স্থানীয় প্রশাসন। এসব ঘর বরাদ্দে একই পরিবারের একাধিক সদস্যসহ অনেক সচ্ছল পরিবারকে ঘর প্রদানের অভিযোগ তোলে এলাকাবাসী। এ নিয়ে সম্প্রতি তারা জেলা প্রশাসনসহ সরকারের উচ্চ মহলেও অভিযোগ করেন। তবে জেলা প্রশাসন ও সদর উপজেলা প্রশাসন এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে আসছে। 
জেলা প্রশাসন বলছে, অত্যন্ত স্বচ্ছতা ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রকৃত দরিদ্র ও ভূমিহীন পরিবারের মাঝেই এসব ঘর বিতরণ করা হয়েছে। মূলত বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টায় একটি মহল এসব বানোয়াট অভিযোগ তুলছে।