সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার

রংপুরের বদরগঞ্জের গোপিনাথপুরে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে তৌহিদুর রহমান নামে এক যুবক।

মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) বদরগঞ্জ আমলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় তৌহিদুর। বুধবার (২৮ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেন বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আরিফ আলী।

পুলিশ জানায়, স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় দুই বছর আগে তালাক দিয়ে নানার বাড়িতে চলে আসেন ওই নারী। কিছুদিন পর শালবাড়ি এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে তৌহিদুর রহমানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয় তার। গত ২৪ জুলাই রাতে ফোন করে ওই নারীকে বাড়ির বাইরে ডেকে নেয় তৌহিদুর। সেখানে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়। পরে তৌহিদুর ও তার দুই সহযোগী শ্বাসরোধে ওই নারীকে হত্যা করে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে গাছের সঙ্গে লাশ ঝুলিয়ে রেখে চলে যায় তারা। এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়। 

এ ঘটনায় ওই নারীর ছোট ভাই তিন জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন। ঘটনার তদন্ত করে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তৌহিদুরকে সোমবার রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ওসি আরিফ আলী বলেন, তৌহিদুরকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে দুই সহযোগীসহ তিন জন ওই নারীকে ধর্ষণ করেছে। মঙ্গলবার তাকে বদরগঞ্জ আমলী আদালতে হাজির করা হলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে কারাগারে পাঠান বিচারক। তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।