শিক্ষকের ভিডিও ধারণ করে ৫ লাখ টাকা দাবি, স্বামী-স্ত্রী আটক

নিজেকে নার্স পরিচয় দিয়ে রংপুরে ‘ভালো চিকিৎসকের’ মাধ্যমে চিকিৎসা করানোর কথা বলে এক স্কুল শিক্ষকের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেছিলেন প্রতারক শাহিনা বেগম ওরফে শিলা আক্তার ওরফে ইসা। সম্পর্কের খাতিরে ওই শিক্ষককে নিজ বাড়িতে ডেকে আনেন। এরপর জোর করে আটকে রেখে আপত্তিকর ছবি-ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ায় প্রতারক এ নারী ও তার স্বামীকে আটক করেছে রংপুর গোয়েন্দা পুলিশ।

শুক্রবার (২০ আগস্ট) বিকালে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের মহানগর ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ডিবির উপ-পুলিশ কমিশনার কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান।

তিনি জানান, দিনাজপুরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সেবিকা পরিচয় দিয়ে দিনাজপুরের পাবর্তীপুর উপজেলার কালিকাপুর খামারপাড়া গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েন দিনাজপুরের খানসামার বাসিন্দা প্রতারক শাহিনা বেগম ওরফে শিলা আক্তার ওরফে ইসা। এরপর ওই স্কুল শিক্ষককে ডাক্তার দেখানোর নাম করে গত ১১ আগস্ট রংপুর নগরীর কটকিপাড়ায় নিজ ভাড়া বাড়িতে ডেকে আনেন। এরপর সংঘবদ্ধ চক্রের মাধ্যমে দুই নারীসহ ওই শিক্ষকের ছবি-ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে তার কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন।

ডিবির এ কর্মকর্তা বলেন, টাকা না দিলে ভিডিওগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। এ ঘটনায় প্রতারণার শিকার স্কুলশিক্ষক বিকাশের মাধ্যমে শাহিনাকে ৩৫ হাজার টাকা দেন। বাকি টাকা দেওয়ার জন্য কয়েক দিন সময় নেন। এ অঙ্গীকারে ওই স্কুলশিক্ষক প্রতারক শাহিনার বাড়ি থেকে ছাড়া পান। এরপর বাকি টাকার জন্য শাহিনা বেগম মোবাইল ফোনে চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন এবং ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। অবশেষে ভুক্তভোগী স্কুলশিক্ষক তার স্ত্রীসহ বৃহস্পতিবার রংপুর মহানগর ডিবি কার্যালয়ে এসে অভিযোগ দেন।

তিনি আরও জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় প্রতারকের অবস্থান চিহ্নিত করে বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) মধ্যরাতে রংপুর নগরীর কটকিপাড়া থেকে শাহিনা ও তার স্বামী মমিনকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় রংপুর মেট্রোপলিটনের কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।