ভারত থেকে আমদানি চালের খালাস শুরু

কাস্টমসের সার্ভার সমস্যা ও শুল্কায়ন জটিলতার কারণে কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে আমদানিকৃত ভারতীয় চাল খালাস শুরু হয়েছে। এতে স্বস্তি ফিরেছে ভারতীয় ট্রাকচালক ও আমদানিকারকদের মাঝে।

শনিবার (২৮ আগস্ট) বিকাল ৩টায় বন্দরের অভ্যন্তরে ভারতীয় ট্রাক থেকে চাল খালাস শুরু হয়। এর আগে তিন মাস ২৩ দিন বন্ধের পর ২৪ আগস্ট বন্দর দিয়ে চাল আমদানি হয়। ২৫ ও ২৬ আগস্ট বন্দর দিয়ে সর্বমোট আট ট্রাকে ২৬৩ টন চাল আমদানি হয়। 

বন্দর থেকে চাল খালাসের জন্য আমদানিকারক মনোনীত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আমিরুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, দেশের বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল রাখতে আমদানির অনুমতিসহ আমদানি শুল্ক কমানো হয়। কিন্তু কাস্টমসের সার্ভারে শুল্ক যে পরিমাণ কমানোর কথা তার চেয়ে বেশি দেখাচ্ছিল। ফলে গত মঙ্গলবার চাল আমদানি হলেও খালাসের জন্য বিল সাবমিট করা যায়নি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাস্টমসের সার্ভার ঠিক হলেও রাত হয়ে যাওয়ায় বিল সাবমিট করা যায়নি। এ জন্য চাল খালাস নেওয়া সম্ভব হয়নি।

তিনি বলেন, শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির কারণে বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। চাল খালাসের জন্য শনিবার দুপুরে বিল অব অ্যান্ট্রি সাবমিট করেছিলাম। একই সঙ্গে চালের শুল্কায়ন মূল্য কত হবে সেটি নিয়ে যে সমস্যা ছিল, তা ঠিক হওয়ায় বন্দর থেকে খালাস প্রক্রিয়া চালু হয়। প্রতিটন চাল সাড়ে ৪০০ মার্কিন ডলারে আমদানি করা হয়। কাস্টমস ৪৭৫ মার্কিন ডলারে শুল্কায়ন করেছে। শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে ২৫.৭৫ ভাগ; যা আগে ৬২.৫ ভাগ ছিল।

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ২৪ আগস্ট বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হলেও খালাস কার্যক্রম বন্ধ ছিল। বন্দর দিয়ে গত তিনদিনে ৩৬৩ টন চাল আমদানি হয়। এসব চাল বন্দরে আটকা ছিল। শনিবার বিকাল ৩টায় বন্দরে ভারতীয় ট্রাক থেকে চাল খালাস কার্যক্রম শুরু হয়।