পেঁয়াজের কেজি ২৫ টাকা!

আমদানি বাড়ায় দাম কমেছে পেঁয়াজের। দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে পাইকারিতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২৫-৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে কয়েকদিন আগেও প্রকারভেদে ২৭ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। এদিকে দাম কমায় খুশি বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকাররা।

হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে, ইন্দোর ও নাসিক এই দুই জাতের পেঁয়াজ বন্দর দিয়ে আমদানি হচ্ছে। বন্দর দিয়ে আমদানি হওয়া ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ প্রকারভেদে পাইকারিতে (ট্রাকসেল) ২৫ থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একদিন আগেও তা ২৭-২৮টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। এছাড়া নাসিক জাতের পেঁয়াজ বর্তমানে ৩০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ৩২টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকার আইয়ুব হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, কিছুদিন আগে আমদানি কমে যাওয়ায় দাম বেড়ে গিয়েছিল। তবে এতে করে পেঁয়াজের পড়তা না থাকায় পেঁয়াজ কিনে মোকামে পাঠানোয় লোকসান গুনতে হয়েছে। বর্তমানে এ অবস্থা কেটে গেছে। এখন পেঁয়াজের আমদানি ভালো হওয়ায় দাম কমতির দিকে রয়েছে।

স্থলবন্দরের আমদানিকারক মোজাম হোসেন ও ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, দেশের বাজারে আমদানি হওয়া পেঁয়াজের কিছুটা চাহিদা বাড়ায় ও দাম বাড়তির দিকে থাকায় পেঁয়াজের আমদানি বাড়ান আমদানিকারকরা। এতে করে বন্দর দিয়ে আগে যেখানে ১০ থেকে ১৫ ট্রাক করে পেঁয়াজ এসেছে, সেখানে ২৫ থেকে ৩০ ট্রাক করে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এ কারণে দাম কমতির দিকে রয়েছে। এছাড়াও বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের দামও কমতির দিকে রয়েছে। যে পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছিল, সেটি এখন কমে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকায় নেমেছে। এর প্রভাব পড়েছে আমদানি হওয়া পেঁয়াজের দামের ওপর। ব্যবসায়ীরা বলছেন পেঁয়াজের দাম আরও কমে ২০ থেকে ২২ টাকায় আসতে পারে। 

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে আগের তুলনায় আমদানির পরিমাণ বেড়েছে। চলতি সপ্তাহের প্রথম দিন শনিবার বন্দর দিয়ে ২৪টি ট্রাকে ৬৮৯টন পেঁয়াজ এসেছে।