কুড়িগ্রামে ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামীন মোল্লার কর্মী ও সমর্থকদের কাছ থেকে শহীদ মিনারে ফুলেল শুভেচ্ছা ও ছবি তোলা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। শহীদ মিনারের বেদির নিচে সিঁড়িতে কর্মী ও সমর্থকসহ জুতা পায়ে ছবি তোলায় বিতর্কের মুখে পড়েন তিনি। বেদির নিচে দাঁড়িয়ে জুতা পায়ে ছবি তোলাকে অনেকে ‘বেদিতে জুতা পায়ে দাঁড়িয়ে’ শহীদ মিনারের অবজ্ঞা হয়েছে দাবি করে বিন ইয়ামীন মোল্লাসহ সংশ্লিষ্টদের বিচার চেয়েছেন।
তবে বিষয়টিকে অপপ্রচার দাবি করে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেছেন বিন ইয়ামীন মোল্লা। তিনি দাবি করেছেন, কর্মী ও সমর্থকসহ তিনি বেদির নিচে, এমনকি সিঁড়ির নিচে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন। একজন ছাত্র হিসেবে তিনি কখনও শহীদ মিনার ও শহীদদের অবজ্ঞা কিংবা অসম্মান করতে পারেন না।
বিন ইয়ামীন মোল্লার বাড়ি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার নেওয়াশী ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া গ্রামে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী। নির্বাচিত হওয়ার পর নিজ জেলায় এটাই তার প্রথম সফর।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ছাত্র অধিকার পরিষদের নবনির্বাচিত কমিটিতে সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) কুড়িগ্রামে আসেন বিন ইয়ামীন মোল্লা। সকালে শহরের ঘোষপাড়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের কাছ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন। এ সময় নেতাকর্মীদের নিয়ে ছবি তোলেন। ওই ছবিকে বেদিতে জুতা পায়ে দাঁড়ানো উল্লেখ করে শুরু হয় বিতর্ক। দিনভর ফেসবুকে নানা বিতর্কের পর অনেকে বিন ইয়ামীন মোল্লা ও তার কর্মীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
এ নিয়ে বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে কথা হয় বিন ইয়ামীন মোল্লার। ফেসবুকে ছড়ানো অভিযোগকে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন তিনি। তিনি বলেন, আমরা জুতা পায়ে শহীদ মিনারের বেদিতে উঠিনি। এমনকি আমরা বেদির সিঁড়িতেও উঠিনি। ছবিটি ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখবেন, আমরা সিঁড়ির নিচে দাঁড়িয়ে আছি।
ফেসবুকে সমালোচনার বিষয়ে এই ছাত্র নেতা বলেন, ‘যারা এগুলো ছড়াচ্ছেন তারা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এগুলো ছড়াচ্ছেন তারা।’
বিন ইয়ামীন মোল্লা বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। আমি শহীদ মিনারে উঠার শিষ্টাচার জানি। শহীদদের অসম্মানের প্রশ্নই আসে না।’