আলোচিত শুভ হত্যা মামলার সব আসামি খালাস

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে পাঁচ বছরের শিশু সাকিবুল ইসলাম শুভকে অপহরণ ও হত্যার মামলা থেকে আপন চাচা আব্দুর রাজ্জাকসহ ১০ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর পৌনে ১টার দিকে গাইবান্ধা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতের বিচারক একেএম শহিদুল আহম্মেদ এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় খালাস পাওয়া ১০ আসামিই উপস্থিত ছিলেন।

তারা হলেন—আব্দুর রাজ্জাক, রিপন কুমার সাহা, কবির হোসেন, হারুন মিয়া, মোস্তাফিজার রহমান, মাজেদুল ইসলাম রবিন, সুমন মিয়া, লাবলু মিয়া, মৃণাল চন্দ্র ও মিলটন খন্দকার। তাদের বাড়ি সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার মিরগঞ্জ ও বালাপাড়া গ্রামে।

দীর্ঘ সাত বছর পর আদালতের এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন শুভর পরিবারসহ রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিলের কথা জানিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতের (পিপি) শাহীন গুলশান নাহার মুনমুন বলেন, হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে প্রধান আসামি আব্দুর রাজ্জাক জবানবন্দি দিয়েছিলেন। তারপরও আসামিদের খালাস দেওয়া হয়েছে।

এদিকে রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে আসামিপক্ষের আইনজীবী আবুওয়ালা মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে মামলার অভিযুক্ত ১০ আসামি নির্দোষ প্রমাণ হয়েছেন। এ জন্য শুনানি শেষে তাদেরকে খালাস দিয়েছেন আদালত। এই রায়ে আসামিরা ন্যায় বিচার পেয়েছেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার বালাপাড়া গ্রামের বাড়ি থেকে শিশু সাকিবুল ইসলাম শুভকে অপহরণ করা হয়। পরদিন মোবাইল ফোনে তার স্কুলশিক্ষক বাবা আশেক আলী মাস্টারের কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা।

বিষয়টি অবগত করা হলে অপহরণের সঙ্গে জড়িত নয়জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তারা শুভকে হত্যার কথা স্বীকার করে। ১০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বালাপাড়া গ্রামের বিল থেকে শুভর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় আশেক আলী মাস্টার বাদী হয়ে নয়জনের বিরুদ্ধে সুন্দরগঞ্জ থানায় অপহরণ ও হত্যার অভিযোগে মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ শিশু শুভর আপন চাচা আব্দুর রাজ্জাকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।