বেড়েছে কাঁচামরিচের ঝাঁজ

বেশ কিছুদিন ধরে কমতির দিকে থাকার পরে ফের বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম। দিনাজপুরের হিলিতে মাত্র দু’দিনের ব্যবধানে পাইকারিতে দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ টাকা, খুচরায় বেড়েছে ৬০ টাকার মতো। সরবরাহ কমায় দাম বেড়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সরেজমিন হিলি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। 

বাজারে দেখা গেছে প্রায় সব দোকানেই কমবেশি কাঁচামরিচের সরবরাহ রয়েছে। তবে দাম আগের তুলনায় বেশি। দু’দিন আগেও নওগাঁ অঞ্চলের কাঁচামরিচ হিলি বাজারে পাইকারিতে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। তবে আজ তা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা দরে।

দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে খুচরা বাজারে। দু’দিন আগেও যে মরিচ ৬০টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল, আজ তা প্রকারভেদে ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে দেশের বাজারে কাঁচামরিচের বাজার ঊর্ধ্বমুখী হলেও দীর্ঘ আট মাস বন্ধের পর ১৪ ও ১৬ আগস্ট দু’দিন হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৩৬ টন ৭৮৬ কেজি কাঁচামরিচ আমদানি হয়। তবে দাম কম পাওয়ায় ও লোকসানের কারণে এর পর থেকে বন্দর দিয়ে মরিচ আমদানি বন্ধ রয়েছে।

ক্রেতা ইসমাইল হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, দু’দিন আগেও বাজারে কাঁচামরিচ কিনলাম ৬০ টাকা কেজি দরে। তবে আজ বাজারে মরিচ কিনতে গিয়ে তো রীতিমতো অবাক। এক কেজি মরিচের দাম বলছে ১২০ টাকা। এমন কী হলো দু’দিনের ব্যবধানে কাঁচামরিচের দাম দ্বিগুণ হয়ে গেলো, প্রশ্ন করেন তিনি।  

বিক্রেতা মনতাজ আলী ও ইব্রাহিম হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমাদের এই অঞ্চলে সাধারণত নওগাঁসহ পাশের বিরামপুর পাঁচবিবি উপজেলার মরিচ আসে। গত বেশ কয়েকদিন ধরে বাজারে দেশীয় কাঁচামরিচের সরবরাহ ভালো থাকায় দাম কমতির দিকে ছিল। এ কারণে বন্দর দিয়েও ভারতীয় মরিচ আসেনি। তবে গত কয়েকদিনের বৃষ্টি ও বন্যার কারণে নওগাঁসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যেখানে মরিচের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। এতে বাজারে যোগানও কমেছে, বেড়েছে মরিচের দাম।