ঝাঁজ বেড়েছে কাঁচা মরিচের

হঠাৎ করেই নীলফামারীর বাজারে ঝাঁজ বেড়েছে কাঁচা মরিচের। ক্রেতাদের অভিযোগ হঠাৎ করেই কেজিতে ৩০-৪০ টাকা করে দাম বেড়েছে। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন বন্যার কারণে মরিচ গাছ মরে যাওয়া এবং আমদানি কম থাকায় দাম বেড়েছে। আমদানি কম হলে দাম আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ প্রয়োজনের সময় আমদানি কমিয়ে ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফা করছেন। 

জেলা শহরের কিচেন মার্কেটের খুচরা ব্যবসায়ী মো. ইলিয়াজ আহমেদ বলেন, বর্ষায় স্থানীয়ভাবে মরিচের গাছ পচে যাওয়ায় ও সরবরাহ কমায় দাম উঠানামা করছে। ভারতীয় মরিচ বাজারে এলে দাম কমে, আর না হলে দাম বেড়ে যায়। এদিকে, নওগাঁ, বগুড়া ও দিনাজপুরের মরিচের আমদানি কমে গেছে। এছাড়া বর্ষায় নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে মরিচের উৎপাদন কমেছে।

রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারের প্রতিটি দোকানে পর্যাপ্ত কাঁচা মরিচ রয়েছে। তবে পাইকারি বাজারে দাম একটু বেশি। প্রতিকেজি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকা কেজি দরে। অপরদিকে, একই মরিচ খুচরা বাজারে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।

এ অবস্থায় পাইকারি বাজার থেকে কিনে খুচরা বিক্রেতারা চড়া দামে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। ক্রেতারা বলছেন, গত বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) যে মরিচ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল, আজ তা ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে সবজি কিনতে এসে নিউ বাবুপাড়ার বাসিন্দা গৃহিনী আলেয়া বেগম বলেন, গত দুইদিন আগে কাঁচামরিচ কিনেছি ৮০ টাকা কেজি দরে। আজকে মরিচ কিনতে এসে দেখি কেজিতে বেড়েছে ৪০ টাকা। কিন্তু সব দোকানে পর্যাপ্ত মরিচ আছে। কীভাবে কেজিতে ৪০ টাকা বাড়লো এর কোনও সঠিক জবাব নেই ব্যবসায়ীদের কাছে। ওই এলাকার বাসিন্দা ট্রাক ড্রাইভার মো. খতিবর রহমান খোকন একই কথা জানান।

বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী লেবু মিয়া বলেন, আমাদের এলাকায় সাধারণত বগুড়া, নওগাঁ ও দিনাজপুর থেকে মরিচ আসে। এখন আগামজাতের মরিচ বাজারের আসার সময় হয়েছে। উঁচু জমিতে অনেকেই স্থানীয়ভাবে মরিচের চাষ করছে। এগুলো বাজারে এলে দাম কমে যাবে।

জেলা মার্কেটিং কর্মকর্তা এটিএম এরশাদ আলম খান জানান, বর্তমানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটারিং করা হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে কাঁচা মরিচের দাম একটু উঠানামা করে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম নয়। আগামজাতের মরিচ উঠতে শুরু করেছে। এখন দাম কমে আসবে।