ছুরিকাঘাতে পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যায় পলাশের রিমান্ড

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের হারাগাছ থানার এএসআই পেয়ারুল ইসলামকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা মামলার আসামি মাদক ব্যবসায়ী পলাশের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আমলি আদালতের বিচারক আল মেহমুদ তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের এসপি জাকির হোসেন জানান, গত ২৪ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) রাতে ইয়াবাসহ আটকের সময় এএসআই পেয়ারুল ইসলামকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন মাদক ব্যবসায়ী পলাশ। কিন্তু অকুতোভয় পুলিশ কর্মকর্তা শেষ পর্যন্ত তাকে জাপটে ধরে ছিলেন। পরে এলাকাবাসী ও অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা এসে পলাশকে আটক করেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত পুলিশ কর্মকর্তা এএসআই পেয়ারুল রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মারা যান। এ ঘটনায় হারাগাছ থানায় হত্যা ও মাদক আইনে দুইটি মামলা করা হয়। পুলিশপ্রধানের নির্দেশে মামলার তদন্তের ভার পিবিআই রংপুরকে দেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, ‘পলাশকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছিলাম। বিচারক তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার সঙ্গে আর কারা জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে মামলাটি বিচারের জন্য আদালতে সোপর্দ করবো।’

এদিকে, আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আসামি পলাশকে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতের হাজতখানায় নেওয়া হয়। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে আদালতে তোলা হয়। আসামিপক্ষে কোনও আইনজীবী নিয়োগ করা হয়নি।

কোট পরিদর্শক নাজমুল কাদের রিমান্ড শুনানিতে বলেন, ‘মাদক ব্যবসায়ী পলাশ পরিকল্পিতভাবে এএসআই পেয়ারুল ইসলামকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে। তার কাছ থেকে ১৫২ পিস ইয়াবা উদ্ধারের পর সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু নিহত পুলিশ কর্মকর্তা জীবন বাজি রেখে তাকে জাপটে ধরে ছিল। এ সময় উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে তাকে ক্ষত-বিক্ষত করলেও পালাতে পারেনি ঘাতক পলাশ।’