হিলি বন্দর দিয়ে একদিনেই ১৪৭ টন কাঁচামরিচ আমদানি

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি বাড়ায় কমতে শুরু করেছে কাঁচামরিচের দাম। বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) বন্দর দিয়ে ১৪টি ট্রাকে ১৪৭ টন কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছে। একদিন আগেও বন্দরে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ পাইকারিতে (ট্রাকসেল) ৯০ টাকা বিক্রি হলেও এ দিন তা কমে ৭০ টাকা হয়েছে।

হিলি স্থলবন্দরের কাচামরিচ আমদানিকারক গোলাম মোস্তফা ও আনোয়ার হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রতিকূল আবহাওয়ায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কাঁচামরিচের আবাদ নষ্ট হয়েছে। এ জন্য বাজারে সরবরাহ কমে দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়েছিল। কয়েকদিনের ব্যবধানে কাঁচামরিচের দাম ১শ’ ৮০ থেকে ২শ’ টাকা পর্যন্ত উঠে গিয়েছিল। বর্তমানে ভারতে বন্যা কমে যাওয়ায় সরবরাহ বাড়ায় হিলি বন্দর দিয়ে কাঁচামরিচের আমদানি বেশি হচ্ছে। এতে বাজার নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। এ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নতুন কাঁচামরিচ উঠতে শুরু করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে বন্দরে প্রতি কেজি পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে। কিছু ভালোমানের কাঁচামরিচ ৮০ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হচ্ছে। তবে কিছু কাঁচামরিচের মান খারাপ হওয়ায় ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে আমদানিকারকদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। এ ছাড়া এক কেজি কাঁচামরিচের শুল্ক বাবদ পরিশোধ করতে হচ্ছে ২৫ টাকা ৫০ পয়সা। এ কারণে কাচামরিচ আমদানি করে কম দামে বিক্রি করা যাচ্ছে না। আমদানি শুল্ক কমানো হলে দাম আরও কমে আসতো।’

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, ‘দেশের বাজারে কাঁচামরিচের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় হিলি বন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। গত সপ্তাহে এ বন্দর দিয়ে তিন থেকে পাঁচ ট্রাক কাঁচামরিচ আমদানি হয়। এখন তা বেড়ে ১০ থেকে ১২ ট্রাক আমদানি হচ্ছে। বন্দর দিয়ে গত ৩ অক্টোবর থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত ৪৫টি ট্রাকে ৩৯৩ টন কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছে।’