হিলি দিয়ে চাল আমদানি বন্ধ

দেশের বাজারে চালের সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নাগালের মধ্যে রাখতে সরকারঘোষিত রেয়াতি শুল্কে আমদানির সময়সীমা শেষ হওয়ায় হিলি দিয়ে আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। নির্ধারিত সময়ের দুই দিন আগেই স্থলবন্দর দিয়ে সব আমদানিকারকের এলসি করা চাল দেশে ঢুকেছে। কোনও চালবাহী ট্রাক ভারতে আটকা নেই বলে জানিয়েছেন বন্দরের আমদানিকারকরা।

স্থলবন্দরের চাল আমদানিকারক রাজিব কুমার দত্ত বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, দেশে চালের দাম বেড়ে অস্থিতিশীল অবস্থার সৃষ্টি হলে বিপাকে পড়ে নিম্নআয়ের মানুষ। এ অবস্থায় সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নাগালের মধ্যে রাখতে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। আমি পাঁচ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি পাই। আমরা মতো ১৮ জন আমদানিকারক ৬৮ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। আমদানির সময়সীমা ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ছিল। তার আগেই সব চাল দেশে ঢুকেছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যে দেশের বাজারে ধান উঠবে। 

হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের উপ-কমিশনার কামরুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সরকার যে রেয়াতি হারে চাল আমদানির সময় দিয়েছিল, সেটি ৩০ অক্টোবর শেষ হয়ে গেছে। নতুন করে সময় বাড়ানো হয়নি। ফলে আমদানি বন্ধ রয়েছে। এখন কেউ চাল আমদানি করতে চাইলে বর্তমান শুল্ক মূল্যে আমদানি করতে হবে।

স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বন্দর দিয়ে বর্তমানে চাল আমদানি বন্ধ। সর্বশেষ ২৮ অক্টোবর দুই ট্রাকে ৯২ টন চাল আমদানি হয়েছে। ২৭ অক্টোবর ৩৯ ট্রাকে এক হাজার ৬৬৩ টন, ২৬ অক্টোবর ৫৪ ট্রাকে দুই হাজার ২০৫ টন, ২৫ অক্টোবর ৩৫ ট্রাকে এক হাজার ৪৪৭ টন চাল আমদানি হয়েছে। এর আগে বন্দর দিয়ে গড়ে প্রতিদিন ১০-১৫ ট্রাক করে চাল আমদানি হয়েছিল।