হিলিতে আমদানি-রফতানি স্বাভাবিক, পণ্য পরিবহন বিঘ্নিত

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে চতুর্থ দিনের মতো ট্রাকচালকদের ধর্মঘটে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য স্বাভাবিক রয়েছে। তবে চাহিদামতো পণ্য পরিবহনের ট্রাক না পাওয়ায় ও ভাড়া ভাড়ায় পণ্য পরিবহন বিঘ্নিত হচ্ছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন প্রজেক্টে চুক্তির পণ্য সরবরাহ সমস্যার আশঙ্কা করছেন আমদানিকারকরা।

সোমবার (০৮ নভেম্বর) সকাল থেকে বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য স্বাভাবিক গতিতে শুরু হয়। বন্দর থেকে পণ্য নেওয়ার জন্য ট্রাকগুলো প্রবেশ করেছে। সেগুলো বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে দেশের অভ্যন্তরে যাচ্ছে। তবে ধর্মঘটের সমর্থনে কাউকে সড়কে দেখা যায়নি।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ধর্মঘট অব্যাহত থাকলেও ট্রাক পাওয়া যাচ্ছে। তবে তা চাহিদার তুলনায় কম। সেই সঙ্গে ট্রাকের ভাড়া বেড়েছে। ফলে পণ্যের দামের ওপর গিয়ে প্রভাব পড়েছে, দামও বাড়ছে। এতে জনগণের ভোগান্তি বাড়ছে। পাথরের টনপ্রতি ভাড়া ছিল ৯০০ টাকা; তা এখন এক হাজার ৫০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। ফলে পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে। সরকারের বিভিন্ন মেগা প্রজেক্টে পাথর সরবরাহের জন্য যেসব আমদানিকারক চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন, ভাড়া বাড়ায় সেসব প্রজেক্টে পণ্য সরবরাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, স্থলবন্দরের কার্যক্রম অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিক। যথারীতি সকাল থেকে ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্যবাহী ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করছে। একই সঙ্গে বন্দর থেকে পণ্য নেওয়ার জন্য ট্রাকগুলো প্রবেশ অব্যাহত আছে। তবে তা অন্যান্য দিনের তুলনায় কম। স্বাভাবিক সময়ে বন্দর থেকে ৪০০ ট্রাক পণ্য নিয়ে গেলেও গতকাল ৩৭০ ট্রাক গেছে। ফলে বন্দরের ভেতরে কিছুটা পণ্যজটের সৃষ্টি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। আজ বন্দরের ভেতরে পণ্য লোড আনলোড কার্যক্রম স্বাভাবিক। লোড শেষে ট্রাকগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে।