সদ্যবিজয়ী ইউপি সদস্যকে হত্যার দায় স্বীকার আসামির, জানালেন কারণ

গাইবান্ধায় সদ্য বিজয়ী ইউপি সদস্য আবদুর রউফ মাস্টারকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার প্রধান আসামি আরিফ মিয়া (৩৫)।

সোমবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জেলার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নজরুল ইসলামের আদালতে আরিফ মিয়া এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এর আগে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সদর থানা থেকে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুর রউফ জানান, আদালতের বিচারক নজরুল ইসলামের খাস কামরায় দীর্ঘ সময় ধরে আসামি আরিফ ইউপি সদস্যকে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।  

আসামি আরিফ মিয়া জানান, আগে থেকেই পারিবারিক বিষয়ে রউফ মাস্টারের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব ছিল। সেই দ্বন্দ্বের জেরে ও ক্ষোভের কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি।

জবানবন্দি রেকর্ড শেষে আরিফ মিয়াকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালতের বিচারক মো. নজরুল ইসলাম। পরে পুলিশি পাহারায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে, শনিবার (১৩ নভেম্বর) রাতে পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার পাঁচপীর গ্রাম থেকে আরিফ মিয়াকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-১৩ সদস্যরা। আসামি আরিফ মিয়া লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের মাগুরের কুটি গ্রামের হায়দার মিয়ার ছেলে।

বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) রাতে লক্ষ্মীপুর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে আবদুর রউফ মাস্টারকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে আরিফ। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় সদর থানায় নিহতের তার বড় বোন মমতাজ বেগম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় আরিফ মিয়াসহ অজ্ঞাত ৬/৭ জনকে আসামি করা হয়।

দ্বিতীয় ধাপে ইউপি নির্বাচনে (১১ নভেম্বর) সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য (মেম্বার) পদে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন আবদুর রউফ মাস্টার। গোবিন্দপুর মাগুরাকুটি গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে আবদুর রউফ মাস্টার লক্ষ্মীপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।